ভারতের মুকুটে নয়া পালক, পরীক্ষণে সফল ISRO নির্মিত গগনযানের ‘বিকাশ ইঞ্জিন”

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহাকাশ গবেষণায় একাধিক সাফল্য লাভ করেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। ২০১৩ সালে সবচেয়ে কম খরচে মঙ্গলে সফলভাবে মঙ্গল যান পাঠিয়েছিল ভারত। তার নেপথ্যেও ছিল এই ইসরো। যদিও চন্দ্রযান-২ চাঁদে পাঠানোর ক্ষেত্রে সেভাবে সফল হতে পারেনি তারা। চাঁদে পৌঁছানোর পরেও মাটিতে নামার ঠিক আগেই ভেঙে পড়ে যানটি। তবে এবার ফের ইসরোর হাতে এলো বড় সাফল্য।

২০১৮ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন মহাকাশচারী সহ মহাকাশ অভিযানের কথা। সেই সূত্র ধরেই একটু একটু করে এগিয়ে চলেছিল ইসরো। ইতিমধ্যেই “মিশন গগনযান”(mission gaganyaan) নামক এই প্রকল্পে অংশ নিতে থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা। চারজন নভোচর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মহাকাশে ভেসে থাকার।

এবার বড় সাফল্য পেল গগনযানও। তৃতীয়বারের পরীক্ষাও সফলতার সঙ্গে পাশ করল ‘বিকাশ’ ইঞ্জিন। সাধারণভাবে বলতে গেলে এই বিকাশ ইঞ্জিন হলো মহাকাশযানটির মেরুদন্ড। আগামী দিনে মহাকাশযানটিকে বয়ে নিয়ে যাবে মহাশূন্যে। আজ তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগীরিতে টানা চার মিনিট ধরে এই ইঞ্জিনটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। ইসরো তরফে জানানো হয়েছে, ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। এটি মূলত লিকুইড প্রপেলেন্ট-সমৃদ্ধ ইঞ্জিন। বিজ্ঞানীদের যা আশা ছিল, সেই সমস্ত ক্ষেত্রেই পাশ করেছে এই ইঞ্জিন।

তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এই ইঞ্জিনের বেশ কিছু অংশ আরও উন্নত করতে চান তারা। এই অভূতপূর্ব সাফল্যে ভারত তথা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহাকাশ বাণিজ্যের অন্যতম কর্ণধার স্পেস এক্সের এলন মাস্ক। আগামী দিনে ভারতের সফল অভিযানের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। এই সাফল্য ভারতের মুকুটে নতুন পালক তা বলাই বাহুল্য।

 


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর