বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেও তাঁর কন্ঠ শুনে শিহরিত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁর কাউন্টডাউন শুনে হার্টবিট বেড়েছে দেশবাসীর। কিন্তু আচমকা স্তব্ধ হল সেই গলা। ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ অরগানাইজেশনের (ইসরো) (Indian Space Research Organisation) বিজ্ঞানী এন বলরমাতি পরলোক গমন করলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় ইসরোর এই বিজ্ঞানী শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। রকেট লঞ্চিং এর ক্ষেত্রে কাউন্টডাউন মুহূর্তটি সকলের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। চন্দ্রযান তিনের লঞ্চের সময় শোনা গিয়েছিল এন বলরমাতির কণ্ঠস্বর।
এর আগে একাধিক রকেটের লঞ্চের কাউন্টডাউনে এই বিজ্ঞানী ছিলেন। ভারতের ঐতিহাসিক চন্দ্রযান তিন ছিল এই বিজ্ঞানীর শেষ কাজ। এন বলরমাতির গলা শেষবারের মতো শোনা গিয়েছিল গত ১৪ই জুলাই চন্দ্রযান তিনের লঞ্চের সময়। বলরমাতি ইসরোর এই প্রজেক্ট এর তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। এছাড়াও ইসরোর একাধিক প্রজেক্টে তাঁর কণ্ঠস্বর শুনে শিহরিত হয়েছেন মানুষ।
আরোও পড়ুন : রাজ্য জুড়ে এত মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণ কী? এবার মুখ খুলল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে আব্দুল কালাম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল বিজ্ঞান এবং গবেষণা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য। ২০১২ সালে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট (রিস)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বলরমাতি তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ইসরোয় যোগ দেন ১৯৮৪ সালে। সমাজ মাধ্যমে ড. পিভি ভেঙ্কিটাকৃষ্ণন লিখেছেন, “শ্রীহরিকোটা থেকে ভবিষ্যতে আর যে যে রকেট উৎক্ষেপণ হবে, সেখানে আর শোনা যাবে না বলরমাতি ম্যাডামের কণ্ঠস্বর। তাঁর জীবনের শেষ কাউন্টডাউন ছিল চন্দ্রযান তিন। এই মৃত্যু খুবই অপ্রত্যাশিত। দুঃখজনক খুব। প্রণাম জানাই।”