ইতিহাস তৈরির পথে ISRO! সফল হল CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের পরীক্ষা, গগনযান মিশনে হবে ব্যবহার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের সি-লেভেল হট টেস্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে ISRO প্রোপালশন কমপ্লেক্সে ফুল নজেল CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের ভ্যাকুয়াম চেম্বারটিকে বাইরে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই ইঞ্জিনটিতে রিস্টার্ট এনাবলিং সিস্টেম উপলব্ধ রয়েছে। যা ভবিষ্যতের মিশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইতিহাস তৈরির পথে ISRO:

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সিস্টেমের সাহায্যে ইঞ্জিনটি উড়ন্ত অবস্থায় রি-ইগনাইট অর্থাৎ পুনরায় জ্বালানো যেতে পারে। এই পরীক্ষার সময়ে এই জাতীয় ক্ষমতার জন্য প্রয়োজনীয় মাল্টি এলিমেন্ট ইগনিটারও প্রদর্শিত হয়েছিল। ISRO-র মতে, সমুদ্রপৃষ্ঠে CE20 ইঞ্জিন পরীক্ষা করা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় ছিল। নজেলের এক্সিট পেশার প্রায় ৫০ মিলিবার (mbar) ছিল।

এর পাশাপাশি পরীক্ষার সময়ে নজেলের মধ্যে ফ্লো-সাসপেনশন একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল। যেখানে ফ্লো-সাসপেনশন প্লেনে গুরুতর ভাইব্রেশন এবং থার্মাল প্রবলেমস এবং নজেল খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদিও, সামগ্রিক বিষয়টিকে মোকাবিলা করার জন্য, বর্তমানে CE20 ইঞ্জিনের ফ্লাইট এক্সেপটেন্স টেস্ট (HAT) হাই অল্টিটিউড ফ্যাসিলিটিতে পরীক্ষা করা হয়।

আরও পড়ুন: IPL-এর আগে বড় ঝটকা! গুরুতর চোটের সম্মুখীন KKR-এর তারকা প্লেয়ার, বাদ পড়লেন সিরিজ থেকে

কেন এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ছিল: ISRO ইতিমধ্যেই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পুনরায় চালু করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এর প্রধান চ্যালেঞ্জ হল নজেল বন্ধ না করে ভ্যাকুয়াম ইগনিশন করা এবং মাল্টি-এলিমেন্ট ইগনিটার ব্যবহার করা। ISRO প্রথমের গ্রাউন্ড টেস্টে নজেল বন্ধ না করে CE20 ইঞ্জিনের ভ্যাকুয়াম ইগনিশন প্রদর্শন করেছে। এই পরীক্ষায়, মাল্টি-এলিমেন্ট ইগনিটারের কর্মক্ষমতাও মূল্যায়ন করা হয়। যেখানে শুধুমাত্র প্রথম এলিমেন্ট সক্রিয় করা হয়। পাশাপাশি, অন্য দু’টি এলিমেন্টের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ১৮ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়লেন গুকেশ! চিনা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে হলেন সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

এই পরীক্ষার সময়ে ইঞ্জিন এবং ফ্যাসিলিটি উভয়ের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক ছিল। সামগ্রিকভাবে এই পরীক্ষা থেকে ISRO-র প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটি ISRO-র Liquid Propulsion Systems Center দ্বারা নির্মিত হয়েছে। এটি LVM3 লঞ্চ ভেহিক্যালের ওপরের পর্যায়ে ইনস্টল করা আছে এবং এটি ২৯ টন থ্রাস্ট লেভেলে কাজ করতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এখনও পর্যন্ত ছয়টি LVM3 মিশনের ওপরের ধাপে ব্যবহার করা হয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গগনযান মিশনেও এই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর