বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) তিনটি আর্থ অবজার্ভেশন অথবা সার্ভিলেন্স স্যাটেলাইট লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম স্যাটেলাইট ২৫ নভেম্বর আর বাকি দুটি ২ ডিসেম্বর লঞ্চ করা হবে। এই স্যাটেলাইট গুলোর মাধ্যমে দেশের সীমান্ত গুলোতে নজরদারি রাখা সম্ভব হবে। এই তিনটি প্রাথমিক উপগ্রহ বাদে, তিনটি পিএসএলভি রকেট দুই ডজনের থেকে বেশি বিদেশী আর ন্যানো মাইক্রো স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। পিএসএলএভি সি-৪৭ রকেটকে ২৫ নভেম্বর শ্রীহরিকোটা থেকে সকাল ৯ঃ২৮ মিনিটে লঞ্চ করা হবে। এটি নিজের সাথে থার্ড কজনরেশন আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট কার্টোস্যাট আর আমেরিকার ১৩ টি কমার্শিয়াল ন্যানোস্যাটেলাইট মহাকাশে নিয়ে যাবে।
ইসরোর অনুসারে, ১৩ আমেরিকার ন্যানোস্যাটেলাইট লঞ্চ করার চুক্তি সম্প্রতি গঠিত ব্যাবসায়িক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড করেছিল। কার্টোস্যাট-৩ কে ৫০৯ কিমি অর্বিটরে স্থাপিত করা হবে। স্পেসফ্লাইট অনুযায়ী, ইসরো আরও দুটি সার্ভিল্যেন্স স্যাটেলাইট- রিস্যাট- ২বিআর১ আর রিস্যাট- ২বিআর২ কে পিএসএলভি ৪৮ আর সি ৪৯ রকেটের মাধ্যমে শ্রীহরিকোটা থেকে ডিসেম্বরে লঞ্চ করা হবে। এর আগে এজেন্সি ২২ মেতে সার্ভিলেন্স স্যাটেলাট রিস্যাট-২বি আর ১লা এপ্রিলে এমিস্যাট লঞ্চ করেছিল। এমিস্যাট ডিআরডিও শত্রুদের র্যাডারের উপর নজর রাখার জন্য সাহায্য করবে।
চন্দ্রযান-২ এর কারণে এই অপারেশনাল স্যাটেলাইট লঞ্চ করতে ছয় মাস দেরি হয়। এটা ইসরোর ইতিহাসে প্রথম যে, শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরো সেনার উদ্দেশ্যে স্যাটেলাইট লঞ্চ করল। শোনা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানে করা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য কার্টোস্যাট-১ আর উপগ্রহ থেকে গোপন তথ্য জোটানো হয়েছিল। যদিও এটা অফিসিয়ালি কোন ঘোষণা হয়নি। কার্টোস্যাট স্যাটেলাইট যেকোন আবওহাওয়ায় পৃথিবীর ছবি নেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে আকাশ থেকে দিন আর রাতের সময় মাটি থেকে এক ফুট উঁচু পর্যন্ত পরিস্কার ছবি তোলা যেতে পারে।
কার্টোস্যাট-৩ এর ক্যামেরা এতটাই শক্তিশালী যে, ওই ক্যামেরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পৃষ্ঠের ৯.৮৪ ইঞ্চি দূরত্ব পর্যন্ত স্পষ্ট ছবি তোলা যেতে পারে। আরেকদিকে আমেরিকার স্পেস কোম্পানি জিওআই-১ স্যাটেলাইট ১৬.১৪ ইঞ্চি দূরত্ব পর্যন্ত ছবি তুলতে পারে। কার্টোস্যাট সিরিজের স্যাটেলাইটের প্রয়োজন ২৬/১১ জঙ্গি ঘটনা হওয়ার পর দরকার পড়েছিল। কার্টোস্যাট -১ কে পাঁচই মে ২০০৫ সালে ইসরো লঞ্চ করেছিল।