বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোমবার চন্দ্রযান-২ সফল ভাবে উত্ক্ষেপিত হয়ে মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে গেলে বহু জায়গা থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আসে ইসরোর কাছে। এমনকি টুইট করে শুভেচ্ছাবার্তা জানান মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও। কিন্তু সেই শুভেচ্ছাবার্তা যে ব্যাঙ্গাত্মক ছলে লেখা, সেই নিয়ে সন্দেহ করছেন নেটিজেনরা। শুধু তাইই না, নাসার এই টুইট ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নাসা টুইটারে লেখে, “গবেষণার স্বার্থে চন্দ্রযান-২ এর সফল উত্ক্ষেপণের জন্য ইসরোকে অভিনন্দন। আমাদের ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক দিয়ে পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে তোমরা কী তথ্য পাও সেই দিকেই তাকিয়ে নাসা। ওই দক্ষিণ মেরুতেই আমরা আর কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশচারী পাঠাতে চলেছি।”
নাসার এই টুইট সামান্য শুভেচ্ছা বার্তা বলে মনে হলেও এর মধ্যে পরোক্ষ কটাক্ষ খুঁজছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। তাদের অভিযোগ, অভিনন্দন জানানোর আড়ালে আসলে চন্দ্রযান-২ এ নিজেদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি, আর্টেমিস অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ভারতীয় প্রযুক্তিকে তাচ্ছিল্য করছে নাসা। তাদের মতে, ভারত যেখানে যান পাঠাচ্ছে সেখানে কয়েকদিনের মধ্যে মহাকাশচারী পাঠিয়ে নিজেদের সামর্থ্য প্রকাশ করতে চাইছে নাসা।
বলাই বাহুল্য, নাসার তুলনায় প্রায় ২০ গুণ কম বাজেট ইসরোর। চন্দ্রযানই হোক বা মঙ্গল অভিযান, সীমিত বাজেটে সাফল্য এসেছে বার বার। মঙ্গলযানের ক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০৭ কোটি টাকা। নাসার কিউরিসিটি মিশনে খরচ হয় প্রায় ৪,৬০০ কোটি টাকা।
চন্দ্রযান-২-এর মতো কঠিন মিশনেও খরচের দিক মাথায় রেখেছে ইসরো। চন্দ্রযান-২ এর জন্য খরচ প্রায় ৯৮৩ কোটি টাকা। প্রায় এই অঙ্কে অ্যাভেঞ্জারস্ ইনফিনিটি ওয়ার এবং এন্ড গেম চলচ্চিত্র দুটি তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই অঙ্ক নেহাতই কম।
শুধু তাই না, অন্যান্য দেশ থেকে কেনা প্রযুক্তি ব্যবহার না করে দেশীয় মেধা ও প্রযুক্তির উপর ভর করে এগিয়ে যাওয়া নিয়েও নেটিজেনরা এগিয়ে রেখেছে ভারতকে।