বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহাকাশ থেকে এবার গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো । মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে যেমন মানুষের কৌতুলের শেষ নেই, তেমনি অতল সমুদ্রে কি আছে, কাদের বাস, কারাই বা রাজত্ব করে সেখানে তার রহস্য অনুসন্ধানে নামছে ইসরো । এক নতুন অভিযানের পথে এগোতে চলেছে ভারতের এই গবেষণা সংস্থা ।
সমুদ্রগর্ভ থেকে তথ্যের সন্ধানে পাড়ি দেবে ইসরোর ক্রু সাবমেরিন ।এই ক্রু সাবমেরিনের নকশা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন ইসরোর একদল বৈজ্ঞানী । প্রস্তাবিত ওই সাবমেরিনের মডেলটি অনেকটা গোলাকার ক্যাপসুলের মতো । সমুদ্রের গভীরতার সীমাহীন চাপকে সহ্য করতে সক্ষম হবে এমনভাবে আকার দেওয়া হবে সাবমেরিনটির ।
ওই সাবমেরিনটি তিনজন মানুষকে বহন করতে সক্ষম হবে । ইসরোর তৈরি এই বিশেষ মডেলের সাবমেরিনটির কতটা কার্যক্ষমতা, তা পরীক্ষা করতে এক আন্তর্জাতিক সংস্থায় পাঠানো হবে । সেখান থেকে পরীক্ষার পর সবুজ সংকেত মিললে্ তবেই বাস্তবে সাবমেরিনটি নির্মাণ করার দিকে এগোবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা ।
জাতীয় মেরিন টেকনোলজির রৌপ্যজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভূতত্ত্ব মন্ত্রনালয়ের সচিব মাধবন নায়ার বলেন, সম্ভবত টাইটেনিয়াম দিয়ে এই গোলাকার ক্যাপসুলটির নকসায় জটিল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে । এই প্রকল্প অনুমোদনের পর ক্রু সাবমেরিনটি তৈরির দায়িত্ব পুরোটাই ইসরোর ।
মহাজাগতিক রহস্য উদ্ঘাটনে লাগাতার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে চলেছে ইসরো । কখন সাফল্যের মুখ দেখেছে, আবার গত বছরে চন্দ্রযান ২-এর মতো ব্যর্থতাকে মেনে নিতে হয়েছে ভারতীয় এই গবেষণা সংস্থাকে । কিন্তু তাই বলে দমে যাওয়ার প্রশ্নই নেই, নতুন কিছু করার জন্য অনবরত ভাবছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা । মহাকাশ ছেড়ে এবার গভীর সমুদ্রের তলে পাড়ি দিতে চলেছে ইসরো ।