বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি বছর আর ডিএ (Dearness Allowance) মামলার রায় ঘোষণা হবে না। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। এদিকে এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিজনেস কনক্লেভের মঞ্চ থেকে ডিএ ইস্যুতে বড় মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে আরও উত্তাপ বেড়েছে।
ডিএ ইস্যুতে মমতার মন্তব্যে ক্ষোভ | Dearness Allowance
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটারি নয়। তবুও আমরা প্রতি বছর ১৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই।” এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, স্যাট (SAT) এবং কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি। এবং এটা সাংবিধানিক অধিকার।
ডিএ কোনোভাবেই সরকারের দয়ার দান নয় স্পষ্ট করে বলেন তিনি। আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ডিএ-কে কর্মীদের ‘সম্পত্তির অধিকার’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বাজারদরের বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মীদের বেতনের মানোন্নয়ন সরকারের দায়িত্ব।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয় সুপ্রিম কোর্টে। বর্তমানে রায় সংরক্ষিত রয়েছে। মলয়বাবুর ধারণা, সুপ্রিম কোর্টে যখন এই মামলা বিচারাধীন এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে, তখন ডিএ বাধ্যতামূলক নয় বলাটা কার্যত আদালতের অবমাননার সামিল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা প্রতি বছর ১৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই। এই দাবি খারিজ করে মলয়বাবু বলেন, ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে। তারপর থেকে গত ৫ বছরে রাজ্য সরকার মাত্র ৫টি কিস্তিতে ডিএ দিয়েছে। প্রথমে ৩% তারপর যথাক্রমে ৩%, ৪%, ৪%, এবং ৪%। সবমিলিয়ে ১৮ % ডিএ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ ডিগ্রি নামবে তাপমাত্রা, দক্ষিণবঙ্গে পারাপতন নতুন সপ্তাহ থেকেই, আবহাওয়ার খবর
এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ডিএ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানান বলেন, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দয়ার উপর মহার্ঘ ভাতা নির্ভর করে না। সারা দেশ জুড়ে একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনেই ডিএ দেওয়ার নিয়ম। তিনি বলেন, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন, তা দিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হয় না। তার কথায়, ডিএ যদি বাধ্যতামূলক না-ই হয়, তা হলে ১৮ % করে দেওয়া হচ্ছে কেন? এক সময় তো শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার দেওয়া কেন হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।












