বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় দাঁড়িয়ে অপার সম্পত্তির গপ্প জানেন না এমন ব্যক্তি বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। গত বছর জুলাই মাস, পাহাড় প্রমাণ টাকা উদ্ধার হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পার্থ-অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টররেট (ED)। খবরের শিরোনাম থেকে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানের আড্ডা, সর্বত্রই চর্চায় ছিল পার্থ-অর্পিতা জুটির সম্পত্তি।
সেই প্রথম এভাবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা চাক্ষুস করে রাজ্যবাসী। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। পার্থ-অর্পিতা ভালো স্টার্ট দেওয়ার পর রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তবে তারা কেউই ছুঁতে পারেনি অপাকে। পার্থ-অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির মতো নজর কাড়তে পারেনি অন্যরা। ফার্স্ট পজিশনে এতদিন পর্যন্ত এই দুজনাই ছিলেন। তবে তবে বছর ঘুরে যখন শেষ পর্যায়ে, ঘুরে গেল খেলা।
২৩ এর ডিসেম্বরে এসে ফের উদ্ধার টাকার পাহাড়। যার পরিমাণ পার্থ-অর্পিতাকে টেক্কা দিয়েও অনেক বেশি। লাইম লাইটে এখন কংগ্রেসের ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহু (Congress MP’ Dheeraj Sahu)। মদের ব্যবসায় আর্থিক বেনিয়মের সূত্র ধরেই বুধবার নেতার বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতর (IT Raid)। আর সেখানেই যখের ধনের হদিস।
আরও পড়ুন: আগামীকালই রাস্তায় নামছেন সরকারি শিক্ষকরা! কারণ সামনে আসতেই মাথায় বাজ সরকারের
প্রায় ৪ ফুট চওড়া আলমারিতে থরে থরে সাজানো টাকা। শনিবারও সেই টাকা গোণা শেষ হয়নি। এমনই টাকার বহর যে সাংসদের বাড়ির টাকা গুনতে গিয়ে বিকল হয়ে যায় টাকা গোনার মেশিন। দেশে এত বড় তল্লাশি অভিযান হয়েছে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সূত্রের খবর, সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি ও অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আয়কর আধিকারিকদের অনুমান এখনও আরও অন্তত ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হবে।