বাংলাহান্ট ডেস্ক: কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ। অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) অবস্থা এখন এমনি। ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় ফেঁসে রয়েছেন তিনি। মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বলে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। ফলত দেশ ছেড়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তাঁর উপরে। এমনকি মায়ের অসুখ সত্ত্বেও ভারত ছাড়ার অনুমতি পাননি তিনি।
জানা যাচ্ছে, মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দেশ ছাড়ার অনুমতি চেয়েছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু আদালতের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বরং স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর্থিক তছরুপের মামলাটি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তাই এখন কোনোমতেই তাঁকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
আদালতের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্যাকলিন যেন দেশ ছাড়ার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। নয়তো আদালতের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তারপরেই বাধ্য হয়ে জ্যাকলিন আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইডির কাছে জ্যাকলিন স্বীকার করেছিলেন, চন্দ্রশেখর তাঁকে কিছু বহুমূল্য উপহার দিয়েছিলেন। তার মধ্যে চারটি ডিজাইনার ব্যাগ, তিন জোড়া ডিজাইনার জুতো, সুগন্ধি, চারটি বিড়াল, একটি ৫২ লাখ টাকার ঘোড়া, দুটো হীরের কানের দুল, একটি হীরের ব্রেসলেট, একটা মিনি কুপারের মতো উপহার ছিল। ইডি দাবি করেছিল, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার উপহার নিয়েছিলেন জ্যাকলিন।
তিনি যদিও দাবি করেছেন, চন্দ্রশেখরের অপরাধের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না, কিন্তু ইডি সেকথা মানতে নারাজ। তদন্তকারীদের দাবি, সুকেশের অপরাধমূলক কাজকর্ম, এমনকি তিনি বিবাহিত জেনেও শুধুমাত্র অর্থের লোভে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জ্যাকলিন। এমনকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন প্রতারককে।