বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ফের একবার ঘাসফুল ফুটেছে। গতবার এই আসন থেকে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। এবার পালা সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh)। যুব সভানেত্রী থেকে সাংসদ, দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রম করে ফেলেছেন তিনি। একদা ‘বাম গড়’ হিসেবে পরিচিত যাদবপুরে (Jadavpur) বিরাট মার্জিনে জয়ী হয়েছেন। আর ভোটে জেতার পরেই নিজ লোকসভা কেন্দ্রের জনগণের জন্য বিরাট উদ্যোগ নিলেন TMC নেত্রী।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল। সাংসদ হওয়ার পর শনিবার বারুইপুরে দলীয় কার্যালয়ে যান তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী। এরপর সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বারুইপুরে কর্মী, সমর্থকরা প্রত্যেকে নিজেদের ভোট ভেবে কাজ করেছেন। সেই কারণেই আমরা এখান থেকে খুব ভালো লিড পেয়েছি। মানুষ আমাদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁদের কাছে আছি,পাশে আছি। ভোটের ফল ঘোষণার পর যাদবপুর, সোনারপুর, টালিগঞ্জ বারুইপুরের লোকজন আমায় রাস্তায় দেখতে পেয়েছেন’।
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে…’! পিছন থেকে ছুরি মেরেছে BJP-র লোকজন, বিস্ফোরক রেখা
এরপরেই ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে ‘সরাসরি সায়নী’ হেল্পলাইন চালু করার কথা বলেন TMC সাংসদ। সায়নীর কথায়, ‘এমনিতে এলাকার মানুষ আমায় দেখতেই পান। তবে আমার ইচ্ছা, ১ মাসের মধ্যে একটা হেল্পলাইন চালু করার। মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা দ্বিধাহীনভবে আমায় জানাতে পারবেন। প্রত্যেকে নিজেদের সাংসদকে কাছে পাবেন’।
উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দিদিকে বলো’ চালু করেছিলেন। সরকারের তরফ থেকে একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রদান করা হয়েছিল। সেখানে ফোন করে সাধারণ মানুষ নিজেদের সমস্যা, অভিযোগ-অনুযোগের কথা জানাতে পারতেন। সেবারের ভোটেও বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড় উঠেছিল। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি চোখে পড়ল।
এবারের ভোটে যাদবপুরে আড়াই লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন সায়নী। বিজেপির অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্যকে পরাজিত করে এবার সংসদের পথে TMC-র এই যুব নেত্রী। তবে শুধু সংসদে যাওয়াই নয়, সায়নী যে এলাকার মানুষের পাশেও থাকতে চান, তা তাঁর পরিকল্পনা থেকেই পরিষ্কার।