বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর ইস্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনা ঘিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা, কাদা ছোড়াছুড়ি। এক স্বপ্নের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ধিক্কার মিছিল, প্রতিবাদ মিছিলে সামিল একাধিক রাজনৈতিক দল।
গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর ইস্যুতে ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপির যুব মোর্চার অবস্থানে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে সেখানে তাকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে। সেই নিয়েই যুব মোর্চার সঙ্গে এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের তুমুল হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়।
ধীরে ধীরে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা পড়ুয়াদের মারধর করে। অবশ্য ছাত্রদের লাথি মারতেও দেখা যায় শুভেন্দুর নিরাপত্তায় থাকা এক জওয়ানকে। অন্যদিকে পাল্টা শুভেন্দুর অভিযোগ, সভামঞ্চ ছাড়ার সময় তার উপর কয়েক জন চড়াও হন। তার গাড়িতেও নিশানা করে পাথর ছোড়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘আমার রোজার ছবি নিয়ে ব্যাঙ্গ করে, ওরা তো …!” ইমামদের অনুষ্ঠান থেকে আক্ষেপ মমতার
এরপরই শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। যাদবপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে শুভেন্দু লেখেন, ঘটনাস্থলে থাকা দুষ্কৃতীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও থাকতে পারত। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন জওয়ানেরা। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, সেদিন তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শিরোনামে ‘সেই’ চিঠি! কুন্তলকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠালেন বিচারক, তারপরেই ‘বড়’ নির্দেশ
এবার জানা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতার করা সেই অভিযোগ নথিভুক্ত করে তদন্তে কাজ শুরু করতে চলেছে পুলিশ। শুভেন্দুর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রজু করা হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব অভিযোগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তদন্তকারীদের দেওয়ার কথা বলে ইতিমধ্যেই উল্টে শুভেন্দুর কাছেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।