বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই তাঁর উত্থান। সেদিন সমস্ত লাইম লাইট টেনে নিয়েছিলেন নিজের দিকে। বহু পোড় খাওয়া নেতা-কর্মীকে পিছনে ফেলে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শহীদ দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ার ডাক পাওয়ার সুযোগকে পুরোদমে কাজে লাগান তিনি। উঠতি এই সোনারপুরের ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajnya Haldar)। খোদ তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সিলেকশন তিনি, এমনই কানাঘুষো শোনা যায়। রাজন্যা নিজেও সেকথা স্বীকার করেন।
সেই ঘটনার ১ মাসও কাটেনি এখনও, এরই মধ্যে বিরাট এক গুরুদায়িত্ব এসে পরে রাজন্যার কাঁধে। আর তা তুলে দিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ সদ্যই নতুন ইউনিট ঘোষণা করল। আর তারই সভাপতি করা হয়েছে রাজন্যাকে হালদারকে (Rajanya Haldar TMCP president)।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেও যে তৃণমূল ইউনিট ছিল না তা নয়। তবে রাজ্যজুড়ে ভোটে ঘাসফুল ফুটলেও উৎকর্ষের শীর্ষে থাকা রাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জনমানসে বামদুর্গ হিসেবেই পরিচিত। টিএমসিপির অস্তিত্ব থাকলেও বাম ছাত্র সংগঠনগুলির ভোটে তা কোনও প্রভাবই ফেলতে পারি নি।
তবে হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে বগুলার ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় (Jadavpur student death) গত এক সপ্তাহে বারবার রাজনীতিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের নিশানা হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুরকে ‘আতঙ্কপুর’ বলে উল্লেখ করে দাবি করেছিলেন, মার্কসবাদীরাই ওই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী। পরিস্থিতির চাপে খানিকটা ব্যাকফুটেই বলা চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন : যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু ঘটনায় নয়া মোড়! গ্রেফতার হল আরও ৩, পুলিসের হাতে বিস্ফোরক তথ্য
এই পরিস্থিতিতে বামদুর্গে জোড়াফুল ফোটানোর সুযোগ কোনও মতেই ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। সূত্রের খবর, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশেই টিএমসিপির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে রাজন্যার নাম প্রস্তাব করা হয়। শেষমেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দলের ছাত্র সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বেছে নেওয়া হয় রাজন্যাকেই।