বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কোনও অলৌকিক ঘটনা না ঘটলে খুব তাড়াতাড়িই সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রবীন্দ্র জাদেজার। আসন্ন দুই মাসের মধ্যেই গোটা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। মে মাসে আইপিএল শেষ হয়েছিল। তারপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে কোনও অজ্ঞাত কারণে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। দুই পক্ষের মধ্যে আর সঠিকভাবে কোনও যোগাযোগই নেই।
অথচ এমনটা হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলা সমস্ত ক্রিকেটাররাই দাবি করেছে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খেলোয়াড়দের সাথে একটি পরিবারের মতো ব্যবহার করে। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে বেশ কয়েকদিনের জন্য নিজের রিহ্যাব সারতে গিয়েছিলেন। এই সম্পর্কে চেন্নাই সুপার কিংস পরিবারকে কিছুই জানাননি সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটার। হবেই বিষয়টি নিয়ে সকলেই আশ্চর্য বোধ করেছেন।
জাদেজা আইপিএলের শেষ অবধি চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে যুক্ত থাকতে পারেননি। একটি চোটের কারণে তিনি শেষ ম্যাচের আগেই চিকিৎসার প্রয়োজনে চেন্নাই শিবিরকে বিদায় জানিয়ে ছিলেন। সেই যে তিনি মুম্বাইয়ের হোটেল ছেড়েছিলেন তারপর থেকে চেন্নাই সুপার কিংসের কর্তারা তার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ রাখতে পারেননি। জাদেজার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চেন্নাই সুপার কিংস সম্পর্কিত সমস্ত পোস্টগুলি ডিলিট করে দিয়েছেন। জাদেজার এহেন আচরণ কেন তা নিয়ে অনেকের মুখেই অনেক রকম জল্পনা শোনা গেছে।
গত আইপিএল শুরুর আগে মাহি আচমকাই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে মরশুমের শুরু থেকে রবীন্দ্র জাদেজাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিকে ধোনি তাকে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেন তারকা অলরাউন্ডার। কিন্তু দলের পারফরম্যান্স অত্যন্ত নিম্নমানের হচ্ছিল। যার জন্য জাদেজাকে মাঝপথেই অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে ফের ধোনিকে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাতে যে দলের পারফরম্যান্সে বিশাল উন্নতি ঘটেছিল এমনটা নয়। যদিও জাদেজাকে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি, তবুও অনেকে মনে করছেন যে হয়তো সেই ঘটনায় জাদেজার অহংবোধে দিয়েছে যার ফলে তিনি এখন চেন্নাই এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে মরিয়া।