বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) প্রয়াণে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক শোকবার্তা নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর। বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে শোকবার্তা তুলে দেন। এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিত্বমূলক সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঢাকায় খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) শেষকৃত্যে গিয়ে পৌঁছলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী
জয়শঙ্কর বুধবার সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছান এবং বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের সচিব এম ফরহাদ হোসেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। খালেদা জিয়ার শেষকৃত্য উপলক্ষে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর এই সফরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল যে, জয়শঙ্কর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন:র্যাপিডের পর ব্লিটজ খেতাব জয় কার্লসেনের! অর্জুন জিতলেন ব্রোঞ্জ, শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও একাধিক রাজনৈতিক নেতা সমবেদনা জানিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে তাঁর দীর্ঘ উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় থাকবে।
বুধবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। সকাল ১১টায় গুলশানের বাসভবন থেকে পতাকা মোড়ানো কফিন বের করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। খুলনা ও মহাখালীসহ দূরবর্তী এলাকা থেকেও অসংখ্য মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন:মামলার জট কমাতে বড় পদক্ষেপ, ২০২৬ থেকে শুনানিতে নতুন নিয়ম জারি করল সুপ্রিম কোর্ট
শেষকৃত্য উপলক্ষে ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়। জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং সেনাবাহিনীও সহায়তায় থাকে। জানাজা শেষে খালেদা জিয়াকে তাঁর স্বামী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে জিয়া উদ্যানে সমাধিস্থ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার তাঁর স্মরণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।












