বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। সেই ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে পারে এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কিন্তু সেই ফাঁদ যদি একাধিক মানুষের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হয় বইকি! কিন্তু তার জেরে যে এরকম বর্বরতার সাক্ষী হতে হবে তা হয়তো বর্তমান সভ্য সমাজ ভাবতেও পারে না।এমনই এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী হয়ে রইল জলপাইগুড়ি জেলা।
একবিংশ শতাব্দীতেও মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী হল জলপাইগুড়ির বানোরহাট এর দুরামারি গ্রাম ।
গ্রামের সব মহিলারা একত্র হয়ে গণধোলাই দিলেন এক সন্তানের মা তথা এক গৃহবধূ কে। অভিযোগ সে স্বামী সন্তান থাকা সত্বেও পরকীয়ায় মত্ত। অপরদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মহিলা এবং তার প্রেমিক দু’জনের ই আলাদা আলাদা সংসার আছে, দু’জনেই বিবাহিত এবং মহিলার প্রেমিকের সেই গ্রামেই একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। পরকীয়া করে একে একে তিন তিনটি বিবাহও করেছেন তিনি!
পরকীয়ার জেরে গেছে বেঁধে রেখে গ্রামের সব মহিলারা একজোট হয়ে “পরকীয়ার শাস্তি” স্বরূপ অভিযুক্ত মহিলাকে গণধোলাই দেন। সারা গ্রামজুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল এ খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। গ্রামবাসী দের সাথে কিছুক্ষণের বচসার পর অভিযুক্ত মহিলা ও তার অবৈধ প্রেমিককে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে, অভিযুক্তদের প্রতি আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ততদিন জেল হেফাজতেই থাকবে দুই অভিযুক্ত।