বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন। শনিবার রাতে যেমন জলপাইগুড়ির সেবক রোডে রামকৃষ্ণ মিশন (Jalpaiguri Ramkrishna Mission) আশ্রম ভবনে হানা দিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। রাত ৩:৩০ নাগাদ মুখে কাপড় বেঁধে প্রায় ৩৫ জন দুষ্কৃতী সেখানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কী ঘটেছিল সেদিন রাতে? সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানালেন মহারাজ শিব প্রেমানন্দজি।
গত শনিবার জলপাইগুড়ির সেবক রোডে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ভবনে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতী (Miscreants)। সেই রাতে মোট ৭জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তাঁরা। এর মধ্যে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের (Ramkrishna Mission Ashram) প্রধান মহারাজ শিব প্রেমানন্দজি। তিনি বলেন, সেই রাতে মোট ৩৫ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছিল।
মহারাজ শিব প্রেমানন্দজির কথায়, ‘দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, রড, কাটারি ছিল। প্রথমে ওঁরা আশ্রমের দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দি করে। এরপর দোতলায় উঠে আরও ৫ জন কর্মীকে আটক করে। এরপর ওই ৭ জনকে এনজেপি রেল স্টেশন এবং অন্যান্য জায়গায় ছেড়ে দেয়’।
আরও পড়ুনঃ ৩ জনই ঘুরিয়ে দিল ‘খেলা’! কয়লা পাচার মামলায় নয়া মোড়! শোরগোল রাজ্যে
শিব প্রেমানন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, সেবক হাউস রামকৃষ্ণ মিশনের নথিভুক্ত সম্পত্তি। সেবামূলক কাজের জন্য ওই বাড়িটি ব্যবহার করেন তাঁরা। গত শনিবার সেখানেই হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের তরফ থেকে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত ৩:৩০ নাগাদ সেবক রোডের দ্বিতল ভবন ‘সেবক হাউসে’ ১০-১২ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। সালুগারা নিবাসী প্রদীপ রায়ের প্ররোচনায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীতের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র ছিল। তাঁরা আশ্রমের বেশ কিছু কর্মীকে মারধর করেন বলে জানানো হয়েছে। আশ্রম না ছাড়লে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আশ্রমে তাণ্ডব চালিয়ে বেরনোর সময় আশ্রমের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি কর্মীদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তাঁরা।