জামিয়া (Jamia) নগর এলাকায় হিংসাত্মক প্রদর্শনে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Millia Islamia) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আর শিক্ষকদের যুক্ত থাকার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারের কাছে উচ্চস্তরীয় তদন্তের দাবি করেনি। কিন্তু একদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর নজমা আখতার (Najma Akhtar) আর জামিয়া প্রশাসন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামা খারাপ করার অভিযোগ তুলে উচ্চস্তরীয় তদন্তের দাবি করেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার বিকেলে প্রদর্শনের সাথে জড়িত রিপোর্ট মানব সংশাধন মন্ত্রালয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘পুলিশ বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল।
পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে লাঠিচার্জ করেছে আর কাঁদানে গাস ছেড়েছে। এছাড়াও লাইব্রেরী আর কেমেস্ট্রি ল্যাবে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ।” দিল্লী পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই এক রিপোর্ট তৈরি করে মন্ত্রালয়ের কাছে পাঠিয়েছে জামিয়া প্রশাসন।
জামিয়া প্রশাসন রিপোর্টে তদন্তের কোন আবেদনই করেনি, কিন্তু সোমবার এক্সিকিউটভ কাউন্সিলের বৈঠকে পাশ হওয়া প্রস্তাবের তথ্য দেওয়া হয়েছিল। ওই তথ্য অনুযায়ী, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ষড়যন্ত্র মাফিক বদনাম করা হচ্ছে, এর জন্য এই ঘটনার উচ্চস্তরীয় তদন্তের দাবি করেছিল তাঁরা।
বৈঠকে এই এটাও বলা হয়েছিল যে, উগ্র প্রদর্শনে জামিয়ার ছাত্র আর শিক্ষকেরা যুক্ত ছিলেন না। এর আগে উপাচার্য প্রোফেসর নজমা আখতার উচ্চ শিক্ষা সচিব অমিত খেরের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।