বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ বলা হলেও, সেই পার্থিক স্বর্গকে সর্বদাই ছিনিয়ে নেওয়ার আছিলায় থাকে পাকিস্তান। একদিকে যেমন পাকিস্তান জম্মু কাশ্মীরকে (jammu and kashmir) অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে মুখিয়ে রয়েছে, তেমন অন্যদিকে ভারতের অংশ হয়েও এই অঞ্চলকে ভারতের তরফ থেকেও কিছু বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। উলটে সেখান থেকে শুধু নিজেরটা বুঝে নিয়েছে সকলে।
সরকাররে পরিবর্তন হলেও, সরকারী জমির লুটপাট বন্ধ হয়নি। আলোর দিশা দেখানর বদলে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে নিজের লোকই। জম্মু কাশ্মীরে রোশনি নামে একটি আইল্যান্ড তৈরি করা হয়। জম্মু কাশ্মীররে রাজভূমি অ্যাক্টকেই রোশনি স্কিম বলা হয়। ২০০১ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ (Farooq Abdullah) ভূমি অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন।
যে আইন অনুসারে, ১৯৯৯ সালের আগে যারা সরকারী জমিতে অধিগ্রহণ করেছিলেন, ১৯৯৯ সালে সরকারী জমির আইন হিসাবে জমির অর্থ মিটিয়ে দিয়ে নিজের নামে করা যেতে পারে।এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, বাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা একত্রিত করা। এই বিশাল পরিমাণ অর্থ একত্রিত করে রাজ্যের জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। এই নিয়মের ফলে অনেকেই অল্প দামে জমি কিনতে সক্ষম হয়।
এরপর ২০০৫ সালে PDP-এর শাসন কালে এই জমি অধিগ্রহণের পর অর্থের বিনিময়ে নিজের নামে করে নেওয়ার আইনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০০৪ সাল অবধি করা হয়। অর্থাৎ ২০০৪ সাল পর্যন্ত অধিকৃত জমি নিজের নামে করতে পারে। এরপর গুলাম নবি আজাদ এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২০০৭ সাল পর্যন্ত করে দেয়। অর্থাৎ অধিকৃত জমি জলের দরে যে কেউ নিতে পারবে। এইভাবে একের পর এক সরকার বদলাতে থাকে, আর অন্যদিকে সরকারী জমি অধিগ্রহণ জলের দামে চলতে থাকে।
এই বিষয়কেই কাশ্মীরের সবথেকে বড় জালিয়াতি বলা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে চাষের দামী জমিটাও জলের দরে বিক্রি করা হয়েছে। কোটি টাকার জমি জলের দরে বিক্রির জন্য নেটওয়ার্ক কাজ করতে থাকে। এইভাবে চলতে চলতে ২০১৪ সালে CAG-র রিপোর্টে সব তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২৫ হাজার কোটি টাকার টার্গেট থাকলেও, সরকারী কোষাগারে জমা পড়েছে মাত্র ৭৬ কোটি টাকা।
এরই মধ্যে আবার ২০১৮ সালের ২৮ শে নভেম্বর জম্মু কাশ্মীরের তৎকালীন গভর্নর রোশনী অ্যাক্ট বাতিল করে দেন। সরকার জমি অধিগ্রহনের পর নিজের নামে করে করে নেওয়ার বিষয় সম্পূর্ণ ভাবে রদ করে দেন। এই বিষয়ে বর্তমানে CBI তদন্ত জারি রয়েছে।