বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ছিল ‘জন্মভূমি’। এত বছর পরেও এই সিরিয়ালের চরিত্রদের ভুলতে পারেননি দর্শকরা। বিশেষ করে আজও দর্শকদের চোখে লেগে রয়েছে ‘জন্মভূমি’র পিসিমা চরিত্রের অভিনেত্রী মিতা চ্যাটার্জির (Mita Chatterjee) অভিনয়। এই বয়সে এসেও আজও অপরূপ সুন্দরী এই অভিনেত্রী (Mita Chatterjee)।
আবেগপ্রবণ জন্মভূমির ‘পিসিমা’ মিতা চ্যাটার্জি (Mita Chatterjee)
‘জন্মভূমি’ (Janmabhumi) খ্যাত বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর কাছে আজও বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। মিতা চ্যাটার্জি (Mita Chatterjee) এখনও দারুন ফিট। এই বয়সেও তাঁকে দেখে হিংসা হতে পারে অষ্টাদশীদের। মনের দিক দিয়ে চির যুবতী এই অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই এসেছিলেন জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে।
সামনেই আসছে দুর্গাপুজো। পুজোর আগেই সম্প্রতি এই সময় ডিজিটালের সাথে ছোটবেলায় দুর্গা পুজোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁর কাছে এখনও দুর্গাপুজো আগের মতোই স্পেশাল। এদিনের ওই বিশেষ সাক্ষাৎকারে বর্ষিয়ান অভিনেত্রী মিতা বলেছেন, ‘দুর্গাপুজো মানেই একটা আলাদা অনুভূতি।’
তবে মিতাদেবী যখন ছোট ছিলেন তখন দুর্গাপুজোয় এতটা জাঁকজমক ছিল না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সেইসময় পুজোয় তো এতটা জাঁকজমক ছিল না। তখন পুজোটাই ছিল মুখ্য। আনুষ্ঠানিকতা কম ছিল। বাড়ির পুজোরই তখন রমরমা ছিল। এত সর্বজনীন আঙ্গিকে পুজো হতো না। মা আসছেন এটা ভেবে আজও বড় ভালো লাগে। আমাদের পরিবারে কোনও অতিথি এলে যে আনন্দ হয়, তেমনটাই অনুভব করি।’
আরও পড়ুন : তিলোত্তমাদের নিয়ে তৈরী হচ্ছে সিনেমা! বিতর্ক তৈরী হতেই মুখ খুললেন রাজন্যা
এছাড়াও এদিন নিজের ছোটবেলার পুজোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মিতাদেবী বলেছেন, ‘তখন আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হতো না। পাড়ায় হতো। যা নিয়ে আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে মেতে থাকতাম। আজ যেটা দক্ষিণ কলকাতার ২৩ পল্লির দুর্গামন্দির, তো এত জনপ্রিয় ছিল না। শুধুই বাঁশ বেঁধে, পাড়ার বড়রা মিলে আয়োজন করত।’
গোটা পুজো হৈহৈ করে কাটালেও বিজয়া দশমীর সময় আসলেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলতেন অভিনেত্রী। কাঁদতে কাঁদতেই তাঁর এমন অবস্থা হত যে উপর থেকে নীচে পড়ে যেতেন। তাই প্রায় প্রত্যেক বছর গলগল করে রক্ত বেরনোটাই নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া পুজোর এক মিষ্টি স্মৃতি শেয়ার করে নিয়ে মিতা বলেছেন তাঁদের পাড়ায় তাঁর হাত দিয়েই ঠাকুরের ত্রিনয়নে টিপ পরানো হত। কারণ সবাই বলতেন ‘তুই আমাদের ছোট মা। যিনি এসেছেন তিনি বড় মা।’