বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সীমান্ত এলাকায় ভারতের ক্ষমতা দেখেই কুপোকাত চীন (china)। কিন্তু এবার ভারতের পর বন্ধু দেশ জাপানের (japan) ক্ষমতা দেখেও হাঁটু কাপতে শুরু করেছে চীনের। জাপান এমন এক অ্যান্টিশিপ মিশাইল তৈরি করতে চলেছে, যা অনেকদূর থেকেও শত্রুপক্ষের যুদ্ধ জাহাজ ধূলিস্মাৎ করতে সক্ষম হবে। শত্রুপক্ষের যুদ্ধ জাহাজের উপরও নজর রাখবে এই মিশাইল।
এই অ্যান্টিশিপ মিশাইল তৈরির প্রসঙ্গে জাপান সরকার জানিয়েছে, এই মিশাইল তারা ওকিনামা দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিম অংশের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করবে। কারণে, দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপে চীন বহুবার নিজের অধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা করে এসেছে। বহুবার চীন নিজের আক্রমণাত্মক রূপেরও প্রকাশ ঘটিয়েছে। সুতরাং, এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এবার চীনকে জোর ঝটকা দিতে চলেছে জাপান। যেভাবে ভারত সীমান্ত এলাকায় ঝটকা দিয়েছিল চীনকে, ঠিক সেইভাবে এবার ভারতের বন্ধু দেশ জাপান, চীনকে শায়েস্তা করতে কোমর বাঁধছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবিষয়ে আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যখন সঠিক সময় আসবে, তখন ঠিক জাপান তার শত্রুকে উচিত শিক্ষা দেবে। এই অ্যান্টিশিপ মিশাইল জাপানের যুদ্ধের অস্ত্র ভান্ডারকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলবে। এই অ্যান্টিশিপ মিশাইলের মাধ্যমে চীনের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখা যাবে। এর ফলে চীন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই, জাপান উচিত শিক্ষা দিতে সক্ষম হবে।
এখানেই শেষ নয়, জাপান সরকার আরও জানিয়েছে, তাদের পুরনো দুটি যুদ্ধ জাহাজের থেকে পুরনো এজিস র্যাডার সিস্টেমের পরিবর্তন করে নতুন এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন র্যাডার লাগানোর পরিকল্পনা করছে। এই নতুন সিস্টেম পুরনোটার থেকে কমপক্ষে ৩ গুণ বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। এই নতুন সিস্টেম উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে ছোঁড়া ব্যালেস্টিক মিশাইললের সঠিক অবস্থান সম্পর্কেও জানতে সাহায্য করবে। যার ফলে জাপানের মিশাইল চীনকে টার্গেট বানাতে পারবে।
পাশাপাশি চীনকে জোর ঝটকা দেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের মাল্টি মিশন যুদ্ধ জাহাজও লঞ্চ করে দিয়েছে, যা সমুদ্রে সুরক্ষা আরও জোরদার করবে। ২০১৮ সালে এই যুদ্ধ জাহাজ বানানোর কাজ শুরু করেছিল জাপান। এইধরনের ২০ টা যুদ্ধ জাহাজ প্রস্তুত করার জন্য আগামী ২০৩২ সাল অবধি সময় নিয়েছে জাপান। কাজ চলছে জোরকদমে।