বাংলাহান্ট ডেস্ক: কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা অস্ত্র বুমেরাং হয়ে গেল জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar)। অভিনেত্রীর দায়ের করা মামলায় বড় বিপদে ফাঁসলেন প্রবীণ গীতিকার। তাঁর দায়ের করা মানহানির মামলার পালটা মামলা দায়ের করেছিলেন কঙ্গনা। বিগত তিন বছর ধরে আদালতের চক্কর কেটে চলেছেন দুই পক্ষ। তবে এবারে জানা গিয়েছে, এই মামলার জেরে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন জাভেদ।
গীতিকারের বিরুদ্ধে ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন কঙ্গনা। দু মাস আগেই এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন জাভেদ। আগামী ৫ অগাস্ট আন্ধেরি কোর্টে ফের তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কঙ্গনা এবং জাভেদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয় ২০২০ সালে। জাভেদের দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানিতে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান রক্ষিত দাবি করেছিলেন, ২০১৬ তে হৃতিক কঙ্গনার ইমেল যুদ্ধের সময় জাভেদ নাকি মধ্যস্থতা করে দুজনের ঝামেলা মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এবং হৃতিককে একসঙ্গে ডেকে নাকি কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তিনি। দু পক্ষেরই পরিচিত এক চিকিৎসকও নাকি উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আদালতে দাঁড়িয়ে জাভেদ আখতার দাবি করেছিলেন হৃতিক কঙ্গনার সমস্যা মেটাতে তিনি নিজে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। গুরুজন হিসেবেই তিনি বিষয়টা মিটিয়ে নিতে উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কঙ্গনা নাকি তাঁর কোনো কথা শোনার প্রয়োজনই মনে করেননি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কঙ্গনা নাকি দাবি করেন জাভেদ আখতার ‘সুইসাইড গ্যাং’ তৈরি করছেন। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনেন সুরকার।