বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) এবং জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) মধ্যে বিবাদ যেন থামতেই চাইছে না। বিগত তিন বছর ধরে দুজনের মধ্যে অভিযোগ পালটা অভিযোগ পর্ব চলছে। এমনকি তাঁদের মধ্যে এই বিবাদ পৌঁছেছে আদালতেও। প্রথমে জাভেদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন কঙ্গনা। এরপরে ফের করোনা কালে তাঁকে খোঁচা দেন অভিনেত্রী। পালটা কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ। গত ৩ রা মে সেই মামলার শুনানি ছিল।
এদিন আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে জাভেদ আখতার বলেন, তিনি লখনউয়ের মানুষ। ওখানে কেউ কাউকে তুইতোকারি করে না। ওখানে সবাইকে ‘আপ’ বলতে শেখানো হয়। সে নিজের থেকে যত ছোটই হোক না কেন। জাভেদ বলেন, তিনি সকলকেই ‘আপ’ বলে সম্বোধন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে তিনি হতভম্ব।
এরপর জাভেদ বলেন, ২০২০ সালে কঙ্গনা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। ওই বছরেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কঙ্গনার কথাগুলো নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তখনই অভিনেত্রী ফের অভিযোগ করেন, জাভেদ নাকি তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন। গীতিকার বলেন, সুশান্তের মৃত্যুর পর আত্মহত্যা শব্দটাই ট্রেন্ডিংয়ে চলে এসেছিল। এরপর আর চুপ করে থাকতে পারেননি জাভেদ।
এখানেই থামেননি গীতিকার। কঙ্গনার বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, অভিনেত্রী বলে বেড়াচ্ছিলেন যে তিনি নাকি কোনো সুইসাইড গ্রুপের সদস্য। এভাবেই মানুষকে আত্মহত্যায় উসকানি দেন তিনি। কিন্তু এটা একেবারেই সত্যি নয়। যদিও এদিন মামলার নিস্পত্তি হয়নি। আগামী ১২ জুন জাভেদ আখতারকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন কঙ্গনার আইনজীবী।
বিষয়টা শুরু হয় ২০২০ সালে। জাভেদের দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানিতে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান রক্ষিত দাবি করেছিলেন, ২০১৬ তে হৃতিক কঙ্গনার ইমেল যুদ্ধের সময় জাভেদ নাকি মধ্যস্থতা করে দুজনের ঝামেলা মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এবং হৃতিককে একসঙ্গে ডেকে নাকি কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তিনি। দু পক্ষেরই পরিচিত এক চিকিৎসকও নাকি উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আদালতে দাঁড়িয়ে জাভেদ আখতার দাবি করেছিলেন হৃতিক কঙ্গনার সমস্যা মেটাতে তিনি নিজে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। গুরুজন হিসেবেই তিনি বিষয়টা মিটিয়ে নিতে উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কঙ্গনা নাকি তাঁর কোনো কথা শোনার প্রয়োজনই মনে করেননি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কঙ্গনা নাকি দাবি করেন জাভেদ আখতার ‘সুইসাইড গ্যাং’ তৈরি করছেন। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনেন সুরকার।