বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেদুনিয়ায় হোক কিংবা নেটদুনিয়ায়, এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি চর্চায় একটাই নাম জিতু কামাল (Jeetu Kamal)। অনীক দত্তর ‘অপরাজিত রায়’ (Aparajito) তিনি। বাস্তবিকই অপরাজিত। সেই যখন অপরাজিত ওরফে সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) রূপে তাঁর লুক প্রথম প্রকাশ্যে এল, তবে থেকেই ছবিটি নিয়ে আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দর্শক মহলে।
অপরাজিত মুক্তি পেয়েছে গত ১৩ মে। নন্দন, রাধা সিনেমা হলের মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পায়নি। অন্যান্য হলেও শো টাইমিং খুব একটা ভাল নয়। এমন হাজারো বাধা বিপত্তি এসেছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যেতে দেননি জিতু। অপরাজিত হয়ে ওঠার জন্য কম পরিশ্রম, কম কষ্ট তিনি করেননি।
অভিনেতার স্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, সত্যজিতের মতো দাঁতের পাটিতে মিল আনতে গিয়ে রক্ত পর্যন্ত ঝড়িয়েছিলেন জিতু। বাহ্যিক রূপ এবং স্বভাবে কিংবদন্তি পরিচালকের যতটা কাছাকাছি নিজেকে আনা যায় তার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছিলেন জিতু।
সত্যজিৎ রায়ের কথা উঠবে আর সিগারেটের কথা উঠবে না তা কি হয়? হাতে বা ঠোঁটে সিগারেট ঝুলিয়ে পরিচালকের কত ছবিই তো আইকনিক হয়ে রয়েছে। জিতুকেও ধূমপানের অভ্যাস করতে হয়েছিল। টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, একটা শট দিতে গিয়েই ৩৪ টা সিগারেট খেতে হয়েছিল তাঁকে!
সাক্ষাৎকারে জিতু আরো জানান, বাড়িতে এসেও সত্যজিৎ তাঁকে ছেড়ে যাননি। সিগারেটের বদলে সাদা কাগজ মুড়িয়েই হাতে ধরে অনুশীলন করেছেন। ফিল্টার ছাড়া জ্বলন্ত সিগারেট আঙুলের ফাঁকে ধরে রাখা প্র্যাকটিস করে গিয়েছেন দিনের পর দিন। সত্যজিতের প্রতিটা ভাবভঙ্গি, চলন বলন আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছেন জিতু। নিজের একশো শতাংশ দিয়েছেন।
অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা জানিয়েছিলেন, স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও একটা রুটিন হয়ে গিয়েছিল। ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম বাজার আগে উঠে বসে থাকতেন নবনীতা। স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও উঠে পড়তেন সমস্ত জিনিস হাতের কাছে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। ফুলহাতা জামা, দু তিন কাপ চা থেকে শুরু করে বাড়িতে ওয়ার্কশপের জন্য মেকআপটাও করে দিতেন নবনীতাই।