বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা তাঁদের অনবদ্য সব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তৈরি করেন বিরল নজির। পাশাপাশি, তাঁরা অবাক করে দেন প্রত্যেককেই। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা ঠিক সেইরকমই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব। মূলত, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মীরাটের (Meerut) শতাব্দী নগরের বাসিন্দা জীবন সিং বিশত তাঁর কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেও আর পাঁচজনের তুলনায় নতুন কিছু করার পথে হেঁটে চলেছেন। আর তার ওপর ভর করেই তিনি ইতিমধ্যেই এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া বুক এবং লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তবে, এখানেই থেমে নেই তিনি। বরং, এখন তাঁর নজর রয়েছে নতুন রেকর্ডের দিকে।
“১৯৯০ সালে মাথায় অনন্য কিছু করার চিন্তা আসে”: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে আয়কর বিভাগ থেকে অবসর নেওয়া জীবন সিং বিশতের বয়স ৬৪ বছর। জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে তাঁর মাথায় অনন্য কিছু করার চিন্তা আসে। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের পত্র, নোট, মুদ্রা, ডাকটিকিট, তাস, ফাউন্টেন পেন, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি ইত্যাদি সংগ্রহ করতে শুরু করেন। জীবন জানান যে, তাঁর কাছে ১৯৩৮ সালের ব্রিটিশ আমলের পাঁচ এবং দশ টাকার নোটের পাশাপাশি স্বাধীন ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমস্ত গভর্নরদের স্বাক্ষর সহ তাঁদের মেয়াদে জারি করা নোট রয়েছে।
বাড়িটি মিনি মিউজিয়ামে রূপ নিয়েছে: বর্তমানে তাঁর বাড়িটি রীতিমতো মিনি মিউজিয়ামে রূপ নিয়েছে। এইসব জিনিস এক ছাদের নিচে থাকার কারণে, তিনি এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস (২০২৩) এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস (২০২২)-এ স্থান পেয়েছেন। তবে, প্রথমবার লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে (১৯৯৬) তাঁর নাম রান্নাঘরের বাগানে ২ ফুট লম্বা, ১০ ইঞ্চি চওড়া এবং ১ ৭ কেজি ওজনের বেগুন ফলানোর জন্য প্রকাশিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চিনের দাদাগিরি শেষ করবেন গৌতম আদানি! করছেন বড় চুক্তি, দামামা বাজবে ভারতের
নতুন রেকর্ড: এদিকে, জীবন সিং এবার তাঁর নতুন রেকর্ডের দাবি করতে চলেছেন। এজন্য তিনি সংবাদপত্র বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ১০০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের নথিপত্র রাখা শুরু করেন। তিনি বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে এপর্যন্ত সারা বিশ্ব থেকে এই ধরণের ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিবরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭২ জন মীরাটের রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এখন কথা বলেই ঝটপট বুক করুন ট্রেনের টিকিট! দুর্দান্ত পরিষেবা শুরু IRCTC-র, মিলবে একগুচ্ছ সুবিধা
স্ত্রীকে লিখেছেন ৮ কেজি ওজনের প্রেমপত্র: জীবন সিং বিশত ১৯৯৯ সালে তাঁর স্ত্রী কমলা দেবীকে ৮৫০ ফুট লম্বা এবং ৮ কেজি ওজনের একটি প্রেমপত্র লিখেছিলেন। তিনি জানান, এটি লিখতে তাঁর ৩ মাস ৩ দিন সময় লেগেছে। সেটি লিখতে ১১১ টি পেন রিফিল ব্যবহার করা হয়। বড় কাগজে ১০,৫০,৬৪৮ শব্দ এবং ৩৫,১২১ লাইন লেখা ছিল। তিনি এটিকে গিনেস বুকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছিলেন। কিন্তু সাফল্য পাননি।