কলকাতা থেকে মাত্র কয়েকঘন্টার পথ, বর্ষায় উপভোগ করুন ঝাড়খণ্ডের এই অফবিট জায়গা

Published on:

Published on:

Jharkhand 3 beautiful waterfall coud be your travel destination in monsoon

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলছে বর্ষাকাল। এমন অবস্থায় ঘুরতে যেতে কার না ইচ্ছে করে বলুন। কিন্তু ছুটি পাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু বর্ষায় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে যেতে অনেকেই সংকোচবোধ করেন। ভয় থাকেই অতি বৃষ্টি, ধস, বন্যার। তবে এই সুযোগে পড়শি রাজ্যে যেতে কোনও বাঁধা নেই। তাই দু’দিনের ছুটি ম্যানেজ করে বেড়িয়ে পড়ুন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) উদ্দেশ্যে। ঝাড়খন্ডে রয়েছে তিনটি জলপ্রপাতের (Waterfall’s) সঙ্গে সৌন্দর্যকে টেক্কা দেওয়ার জায়গা। যা এই বর্ষাকালে আরও সতেজ হয়ে ওঠে।

বর্ষা উপভোগ করতে যেতে হবে ঝাড়খণ্ড, হাতের কাছে আছে পাহাড় নদী দুই-ই (Jharkhand)

সারাবছর থাকে না সেভাবে জল। তবে বর্ষা এলেই বদলে যায় রূপ। এমনই তিন ঠিকানা আছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। হাতে দু’দিনের ছুটি আর অল্প খরচে ঘুরতে চাইলে সপ্তাহশেষে ঘুরতে যেতে পারেন মোতি ঝর্না দেখতে। মোতি ঝর্নার পাশাপাশি সীতা আর বথিন্ডার রূপও কিন্তু টেক্কা দিতে পারে উত্তরবঙ্গের যে কোনও জলপ্রপাতকে।

মোতি ঝর্না: ঝাড়খণ্ডের রাজমহলের দুদিনের জন্য ঘুরে আসা যায়। এখানে রয়েছে মোতি ঝর্না। যা মূলত ছুঁয়ে আছে রাজমহল পাহাড়। গঙ্গা থেকে মোতি ঝর্ণার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসছে ঝর্নার জল। এই ঝর্নার পাশেই গুহার ভিতরে রয়েছে মোতিনাথ শিবের মন্দির। বর্ষাকালে এই ঝর্না অপরূপ সুন্দরী হয়ে ওঠে। পাহা়ড়ের উপর থেকে সশব্দে নেমে আসছে জল।

সীতা ঝর্না: ঝাড়খণ্ডে ঘুরতে গেলে সীতা ঝর্না দেখতে ভুলবেন না। পাহাড়ের ওপর থেকেই পড়ছে এই ঝর্ণার জল। এছাড়া এখানে ৪৩ মিটার উঁচু পাহাড় থেকে ঝর্না হয়ে নেমে আসে রাধু নদী। বাঁধানো সিঁড়ি বেয়ে নামতে হবে। তবে ঝর্না দেখতে চাইলে বেশ খানিকটা নীচে নামতেই হবে আপনাকে। উল্লেখ্য, রাঁচি থেকে সীতা ঝর্নার দূরত্ব প্রায়৫০ কিলোমিটার। রাঁচি গেলেও, অনেকে সীতা ঝর্না যান না। তবে এখানে যাওয়া উচিত। এখানে গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য।

Jharkhand 3 beautiful waterfall coud be your travel destination in monsoon

আরও পড়ুন: দাম্পত্য জীবনে কলহ, কাঠি করছে শুক্র! সাংসারিক সুখ বজায় রাখতে স্ত্রী’ কে দিন এই নির্দিষ্ট উপহার

বথিন্ডা: ঝাড়খণ্ডের অন্যতম জলপ্রপাত বথিন্ডা। ধানবাদ থেকে সড়কপথে প্রায় ১৭ কিলোমিটার গেলে এই জলপ্রপাতটি আপনি দেখতে পাবেন। বথিন্ডার জলপ্রপাতের সৌন্দর্য আলাদা। এটি সুউচ্চ জলপ্রপাত নয়। ক্ষয়ে যাওয়া পাথুরে ধাপের উপর দিয়ে চলেছে বথিন্ডার ঝর্না। বিগত কয়েক বছরে এই স্থানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনকি বর্ষায় বাথিন্ডার ঝর্না দেখতে আরও সুন্দর লাগে।

কি ভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

হাওড়া থেকে সাহেবগঞ্জ পৌঁছনোর একাধিক ট্রেন আছে। রাতে আছে হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস এবং জামালপুর এক্সপ্রেস। পাশাপাশি হাওড়া থেকে ধানবাদের অসংখ্য ট্রেন আছে। ভোরের দিকে ট্রেন ধরে ধানবাদ যেতে পারেন। অথবা শতাব্দি এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত ধরেও যেতে পারেন আপনারা। এই ট্রেন করে রাঁচি নামুন। রাঁচিতে পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে এই ঝর্না গুলো দেখতে পারে। আর এখানে থাকার জন্য আগের থেকে হোটেল বুক করে আসা ভালো।