বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) মহাজোট সরকারে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানে হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) সরকারের সহযোগী কংগ্রেসের ৯ জন বিধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে। এমনকি মামলা দিল্লী পর্যন্ত পৌঁছেছে। রাজ্যসভার সদস্য ধীরজ প্রসাদ সাহুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের তিন বিধায়ক ইরফান আনসারি, রাজেশ কচ্ছপ, আর উমাশঙ্কর অকেলা ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লী পৌঁছেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে কংগ্রেসের নয়জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক হেমন্ত সোরেন সরকারের সমস্যা বাড়াতে পারে। তিন বিধায়ক কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আহমেদ পাটেল আর গুলাব নবী আজাদের সাথে সাক্ষাৎ করে ঝাড়খণ্ডে ফিরেছেন। যদিও, দিল্লী যাওয়া সব বিধায়ক এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হন নি। বিধায়করা দিল্লীতে হেমন্ত সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বলেছে যে, সরকার তাঁদের কথা শুনছে না।
কংগ্রেস বিধায়কদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ গুলো হল, সরকারের কাজকর্ম আর দলের প্রদেশ কংগ্রেস পর্যবেক্ষক আরপি সিংয়ের চালচলন। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মতে, কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকই সরকার আর মন্ত্রীদের উপর চাপ সৃষ্টি করার তাঁদের সমস্ত প্রচেষ্টা বিফল করে দিচ্ছে। এরজন্য দিল্লী যাওয়া এই বিধায়কেরা কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করার বদলে রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কেসি বেনুগোপাল, গুলাম নবী আজাদ আর বরিষ্ঠ নেতা আহমেদ প্যাটেলের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
শোনা যাচ্ছে যে, রাজ্যসভার সদস্য ধীরজ প্রসাদ সাহু সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন। ওনার নেতৃত্বে জামতাড়ার বিধায়ক আর প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি ডঃ ইরফান আনসারি, বরহির বিধায়ক উমাশঙ্কর অকেলা আর খিজরির বিধায়ক রাজেশ কচ্ছপ দিল্লীতে হেমন্ত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝুলি খুলে বসেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যদি এনাদের দাবি স্বীকার না করা হয়, তাহলে এনারা দলও বদলে ফেলতে পারেন। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি কিছুদিন আগেই অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, বিজেপির সরকার রাজ্যের সরকার ভাঙার জন্য বিধায়কদের প্রলোভন দিচ্ছে।