বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের টেলিকম বাজারে রিলায়েন্স জিও এখন পরিচিত একটি নাম। অত্যন্ত দ্রুত রিলায়েন্স জিও দখল করে ফেলেছে ভারতের টেলিকম বাজার। একের পর এক দুর্দান্ত অফারের জেরে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা। প্রথমদিকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে 4G ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল রিলায়েন্স জিও।
এরপর ধীরে ধীরে রিলায়েন্স জিও তাদের ট্যারিফের খরচ বাড়াতে থাকে। এরপর বাজারে শুরু হয় 5G পরিষেবা। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে 5G পরিষেবা শুরু করে দিয়েছে রিলায়েন্স জিও। সম্পূর্ণভাবে 5G পরিষেবা দেশের সর্বত্র চালু হওয়ার আগেই 6G পরিষেবা শুরুর তোরজোড় শুরু হয়ে গেছে।
আরোও পড়ুন : সোনায় সোহাগা! নভেম্বর মাসে আরও লম্বা ছুটি পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা, এল নতুন তালিকা
এমন অবস্থায় অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন হয়ত এবার বৃদ্ধি পেতে চলেছে ফাইভ জির ট্যারিফ। জিও-র প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ ওমেন এই আবহে জানিয়েছেন, জিও আপাতত কোনও প্ল্যানের দাম বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করছে না। সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রাহকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রাখার জন্য।
আরোও পড়ুন : ধরতে পারবেন মাছ, ভোর হলেই শুনবেন পাখির কলতান! কলকাতার কাছের এই লেকেই পাবেন স্বর্গীয় সুখ
এয়ারটেল প্রধান গোপাল ভিত্তল এমন পরিস্থিতিতে দাবি করেছিলেন যে যদি টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে গ্রাহক পিছু মাসিক ৩০০ টাকা খরচ হওয়া প্রয়োজন। জিওর তুলনায় এয়ারটেল এর গ্রাহকদের মাসিক গড় খরচ বেশ খানিকটা বেশি। এয়ারটেল গ্রাহকদের মাসিক গড় খরচ প্রায় ২০০ টাকা।
জিও-র প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ ওমেনের কথায়, জিও নজর দেবে, ভোডাফোন আইডিয়া, বিএসএনএল/এমটিএনএল-এর ২৪০ মিলিয়ন গ্রাহককে নিজেদের দিকে আকর্ষণ করার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং জিও-র চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানির লক্ষ্য দেশের ২০০ মিলিয়ন ২জি গ্রাহককে ডিজিটাল অভিজ্ঞতা দেওয়ার।