বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha)। আর মাধ্যমিক নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাফ দাবী, সবকিছু যেন ঠিকঠাক ভাবে পালিত হয়। তাঁরা কোনো খুঁত রাখতে চান না। সেই জন্যই চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। আরোও কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই তাঁরা জিও ট্যাগিংয়ের (Jio Tagging) সুবিধাও গ্রহণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন পরীক্ষার্থীরা (Examinee) যে পরীক্ষা দেবেন তার ছবি (Photos) তুলে রাখা হবে এই জিও ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে। এর ফলে, কোনো পরীক্ষার্থী যদি ভেবে থাকেন পরীক্ষা দেবেন না বা পরীক্ষা চলাকালীন কোনো অশান্তির সৃষ্টি করবেন, তা অতি সহজেই বন্ধ করা যাবে। হঠাৎ এই রকম এক কড়া সিদ্ধান্ত কেন গ্রহণ করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?
কারণ আর কিছুই না, অনেক জায়গাতেই মাঝে মাঝে শোনা যায় যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তাঁদের পরীক্ষার সেন্টারে প্রায়ই জিনিসপত্র ভাঙচুর করে, পরীক্ষাগুলিকে পন্ড করতে চান। আর এর ফলে বোঝা যায় না যে ঠিক কে বা কোন পরীক্ষার্থী এমনটা করলেন বা কীভাবে করলেন। সেই কারণে এবার থেকে নেওয়া হবে এই জিও ট্যাগিংয়ের সুবিধা। এর মাধ্যমে সহজেই আটকানো যাবে এই ঘটনাগুলি।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে, সমস্ত পরীক্ষার সেন্টারগুলিতে সেন্টার প্রধান ও সুপারভাইজারকে জিও ট্যাগের সাহায্যে তুলে রাখতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের ছবি। সেই ছবি শেয়ার করা হবে, স্যাটালাইটের মাধ্যমে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী বা অন্য কেউও যদি পরীক্ষার ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে পর্ষদ।
এই বিষয়ে যখন শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডলকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁর সোজা জবাব ছিল এই যে এটি নিঃসন্দেহে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রথমে শিক্ষকেরা দেখিয়ে দেবেন ছাত্র ছাত্রীরা কীভাবে পরীক্ষা দেবেন। এর পরেও যদি তাঁরা সেই নিয়ম না মানেন বা কোনো অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন তাহলেই তাঁর রেজাল্ট পর্যন্ত আটকে দেওয়া হতে পারে।