বাংলা হান্ট ডেস্কঃ JNU অশান্তিতে প্রেস কনফারেন্স করে দিল্লী পুলিশ কয়েকটি ছবি জারি করেছে। দিল্লী পুলিশের পিআরও এমএস রান্ধবা ছবি আর নাম জারি করে বলেন, এখনো তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের মধ্যে JNU এর প্রাক্তন ছাত্র চুনচুন কুমার, ঐশী ঘোষ, দোলন সামন্ত, বিকাশ বিজয়, প্রিয়া রঞ্জন, সুচেতা তালুকদার, পঙ্কজ মিশ্রা, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ, বিকাশ প্যাটেল এর নাম জারি করে জানায় এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই ছাত্রদের মধ্যে ৪ জন বাম আর ২ জন যোগেন্দ্র যাদব আর বিকাশ প্যাটেল ABVP এর সাথে যুক্ত।
https://twitter.com/ANI/status/1215595985574907904
সাবরমতি হোস্টেলে ভাঙচুরের ভিডিও সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে। যদিও এখনো সেই কাণ্ডে দোষীদের ছবি জারি করা হয়নি। পুলিশ জানায় অনেক ছাত্র পড়তে চায়, কিন্তু বামেদের চার গ্রুপ তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করতে দিচ্ছিল না। স্টাফের সাথে মারপিটও করেছে তাঁরা। সার্ভার রুম বন্ধ করে দিয়েছিল। দিল্লী পুলিশ অভিযোগ জানিয়েছে যে পেরিয়ার হোস্টেলে বামেরাই হামলা চালিয়েছিল। যদিও দিল্লী পুলিশ এটাও জানিয়েছে যে, সাবরমতি হোস্টেলে হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল আর বেছে বেছে ছাত্রদের রুমে হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত করা অপরাধ দমন শাখার ডেপুটি কমিশনার জয় তির্কি প্রেস কনফারেন্সে জানান। এক জানুয়ারি থেকে পাঁচ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচুর ছাত্র ছাত্রীরা শীতকালীন সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন করতে চাইছিল, কিন্তু বামপন্থী ছাত্র সংগঠন তাঁদের সেটা করতে দিচ্ছিল না। ডিসিপি পাঁচ জানুয়ারির হামলার নিন্দা করে বলেন, বিশ্ববিদ্যাল্যে পেরিয়ার হোস্টেলে কয়েকটি বিশেষ রুমকে নিশানা করা হয়েছিল।
পুলিশ আধিকারিক দাবি করেন যে, ঐশী ঘোষ সমেত কিছু ছাত্র হোস্টেলে থাকা ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়েছে ঐশী ঘোষ। উনি ওনার উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করেছেন। উনি বলেছেন দিল্লী পুলিশের কাছে যা যা প্রমাণ আছে সেগুলোকে সার্বজনীন করা হোক।