বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুলিশ, প্রশাসন, সরকার কি করছে? নাকে কি সর্ষে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে? না না এটা আমাদের প্রশ্ন নয়! এই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা, বুদ্ধিজীবীরা। কিন্তু কেনো? তার কারণ হচ্ছে আজ পান থেকে চুন খসলেই পুলিশ নয়, জনগন দ্বারস্থ হচ্ছে হাইকোর্টের দরজায়। আজ চাকরির সমস্যা হাইকোর্ট আছে, রাস্তার সমস্যা থেকে শুরু করে ঘরের সমস্যায় সবেরই বিচার দেবে হাইকোর্ট। তবে সবকিছু মানা গেলেও পুজোতেও হাইকোর্টের অনুমতি চাই। এটা মানা যায় না। আর এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) অনুমতি নিতে যোধপুর পার্ক কমিটির সদস্যদের ছুটতে হলো হাইকোর্টে।
যোধপুর পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja) বিপত্তি
যোধপুর পার্ক আনন্দ সংঘ পুজো বাঙালিদের কাছে এক আলাদা ইমোশন। কমিটির হাত ধরে এবছর জগদ্ধাত্রী পুজো ( Jagadhatri Puja ) ৩৬ বছরে পদার্পণ করল। তবে ৩৬ বছরের পুজোতে যেন লেগেছে বিষাদের সুর। অন্যান্য বছর গুলিতে পুজো বেশ বড় করে অনুষ্ঠানের মধ্যে সুসম্পন্ন হয়। তবে এবার এসব কিছুই দেখা যাচ্ছে না প্যান্ডেলের আনাচে কানাচে। কারণ পুজো শুরুর আগে বারবার হাইকোর্টের দরজায় দারস্থ হতে হয় পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের।
আসলে যোধপুর পার্কের (Jhodhpur Park) এই বছর তাদের পুজোর মূল আকর্ষণ ছিল চার পায়েদের ভ্যাকসিনেশন। অর্থাৎ এবার পথপুকুর এবং এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকা পোষ্যদের জন্য নয়া উদ্যোগ নেয় যোধপুর পার্ক। জানা যায়, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যান্টি রাবিস ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করে পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন সন্ধ্যের ছটা থেকে আটটা পর্যন্ত বহু মানুষ এসেছিলেন তাদের পোষ্যদেরকে এই ভ্যাকসিন দিতে। পাশাপাশি ক্লাবের তরফে পথ কুকুরদেরকেও ভ্যাক্সিনেটেড করা হয়। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, এই পুজোর আয়োজন করা হয় বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের সামনে।
আরোও পড়ুন : ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে রক্তের সম্পর্ক, রবীন্দ্রনাথের বংশধর শর্মিলা-পুত্র সইফ আলি খান?
হাইকোর্টের (Highcourt) শুনানি শেষে যোধপুর পার্ক আনন্দ সংঘ কমিটিকে পুজোর অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বেঁধে দেওয়া হয়, বড় বড় কিছু বিধি নিষেধ। বলা হয়, মাইক কিংবা লাউড স্পিকার ছাড়াই জগদ্ধাত্রী পুজো করতে হবে। যদিও যোধপুর পার্কে এমন অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও গত বছর এক মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলা বড়দিনের সময় ১০০১ দুঃস্থ শিশুদের কেক বিতরণের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
সেই মামলার উপর নির্ভর করেই এবার বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের স্কুলের সামনে কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে পরবর্তীতে জগদ্ধাত্রী পূজার (Jagadhatri Puja) অনুমতি দেন সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি । এই অনুমতি পাওয়ার পর অষ্টমী থেকে পুজো শুরু হয় যোধপুর পার্কে। দীর্ঘ টালবাহানা কাটিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো করার অনুমতি পায় যোধপুর পার্ক আনন্দ সংঘ। তবে গত বছরগুলির মত এই বছর যেন পুজো যেনো কোথাও গিয়ে বেরঙিন হয়ে পড়েছে।