বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরফ গনিকেই দুষলেন। বাইডেন বলেন, গনি আফগানিস্তানকে কঠিন পরস্থিতির মুখে ফেলে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। ওনাকে প্রশ্ন করা উচিৎ, উনি বিনা লড়াইয়ে কেনও দেশ ছেড়ে পালালেন? উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সমেত অজস্র মানুষের মতে আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতির জন্য বাইডেন দায়ী।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সমালোচনার মধ্যে সোমবার আফগানিস্তানের সঙ্কট নিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণের জন্য আফগান আর্মি আর আশরফ গনিকে তিনি একহাতে নিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের সেনা লাগাতার লড়াই করার ঝুঁকি নিতে পারবে না। আমি এটা নিয়ে আগেই স্পষ্ট করেছি যে, আমাদের বিদেশ নীতি মানবাধিকারের উপর ভিত্তি করেই গড়া হয়েছে।”
জাতীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি, আমি আপনাদের ভ্রান্তির মধ্যে রাখতে চাই না। আমার পরেও কোনও রাষ্ট্রপতি আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করে রাখত না। অনেক আমেরিকান জওয়ানের পরিবার আফগানিস্তানে আপনদের খুইয়েছে। আমরা আমাদের সেনাকে লাগাতার বিপদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য পাঠাতে পারিনা। অনেকেই বলছেন, আমরা আফগানিস্তানের অভিযান মাঝ পথেই ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি জানি যে, আমি সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রচেষ্টা করেছি।”
বাইডেন আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সেই দেশের নেতাদের দোষী আখ্যা দিয়েছেন। উনি বলেছেন, আফগানি নেতারা সেখানকার মানুষের স্বার্থের জন্য একজোট হতে ব্যর্থ হয়েছে। ওঁরা নিজেদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য সমঝোতা করতে পারেনি। বাইডেন বলেন, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চিন আর রাশিয়া চাইছে যে আমেরিকা আফগানিস্তানে নিজেদের কোটি কোটি ডলার বরবাদ করুক। আমি স্পষ্ট বলতে চাই যে, আফগানিস্তানের বিবাদ আমেরিকার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি অনেক ভাবনাচিন্তা করার পরই সেনাকে দেশে ফিরিয়েছি।
বাইডেন বলেছেন, আমাদেরই ন্যাশানাল সিকিউরিটি টিম আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আমরা শীঘ্রই সেখান থেকে আমাদের মানুষদের ফেরত আনছি। আফগানিস্তানে যা হয়েছে, তা আচমকা হয়েছে। আফগান সেনা মাথানত করেছে। আফগান নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা আফগানিস্তানে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা আল-কায়দার দমন করেছি। আমাদের মিশন আফগানিস্তান গড়া ছিল না। ট্রাম্পের আমলে ১৫ হাজার সৈনিক আফগানিস্তানে ছিল। আর আমার আমলে ২ হাজার সৈনিক।