মদের দোকানের কাজ থেকে অভিনয়, জনি লিভারের এই গল্প জানেন?

জনি লিভার (Johnny Lever), নিজের দুর্দান্ত অভিনয় এবং কমেডির কারণে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি সিনেমায় দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন। আজ অর্থাৎ ১৪ আগষ্ট তাঁর ৬৭ তম জন্মদিন। তিনি ১৯৫৭ সালে অন্ধ্র প্রদেশের কানিগিরিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে ‘দর্দ কা রিশতা’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি (Johnny Lever)। একসময় জনি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পান। সেই সময় অভিনেতা সুনীল দত্তের চোখ পড়ে জনির উপর। সুনীল দত্ত জনিকে তাঁর ‘দর্দ কা রিশতা’ ছবিতে কাজ করার সুযোগ দেন। এরপর ৮০ ও ৯০ এর দশকে দর্শকদের মন জয় করেন জনি।

অনেক মানুষই তাঁর আসল নাম সম্পর্কে জানেন না। জনির আসল নাম জন প্রকাশ রাও জানুমালা। তাঁর নাম পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একটি মজার গল্প। আসলে জনির বাবা ‘হিন্দুস্তান লিভার’ কোম্পানিতে কাজ করতেন। মাঝে মাঝে জনিও বাবার সঙ্গে অফিসে যেতেন। প্রথম থেকেই চলচ্চিত্রের প্রতি ঝোঁক ছিল জনির। জনি তাঁর বাবার অফিসে অভিনেতাদের নকল করে মানুষের মনোরঞ্জন করতেন। এরপর লোকে তাকে জনি লিভার বলে ডাকতে শুরু করে।

johnny lever struggle story and unknown facts pck

১৯৮২ সালে ‘দর্দ কা রিশতা’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন জনি লিভার (Johnny Lever)

জনি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই স্কুলের পড়াশোনাও শেষ করতে পারেন তিনি। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় বাড়ির পরিস্থিতির কারণে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়। ১৫ বছর বয়সে তিনি রাস্তায় কলম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি তাঁর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি প্রায় তিন-চার মাস ধরে কলম বিক্রি করেছি। আমার এক বন্ধু আমাকে কলম বিক্রি করতে শিখিয়েছে। আমার বয়স যখন ১৫ থেকে ১৬ বছর, আমি অভিনেতাদের কণ্ঠ নকল করার চেষ্টা করে কলম বিক্রি করতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে কলম বিক্রি করে ২৫ থেকে ৩০ টাকা আয় করতাম। কিন্তু পরে যখন আমি অভিনেতাদের কণ্ঠে কলম বিক্রি শুরু করি, তখন আমি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করতে শুরু করি।’
জনি বলিউডে আসার আগে একটি মদের দোকানেও কাজ করেছেন। স্কুল থেকে ফিরে এসে পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে এই কাজ করতেন তিনি। তাঁর এক সাক্ষাৎকারে জনি লিভার বলেছিলেন, ‘আমি বস্তিতে থাকতাম এবং স্কুল থেকে ফিরে এসে মদের দোকানে কাজ করতাম। যেটুকু টাকা পেতাম, তা সংসার খরচের জন্য দিতাম।’


Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর