বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ওডিআই বিশ্বকাপের ব্যর্থতা এখন অতীত। আজ থেকে ভারতীয় দল প্রস্তুতি শুরু করেছে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (2024 T-20 World Cup) ভালো ফলাফল করার জন্য। সেই উদ্দেশ্যে সূর্যকুমার যাদবের (Surya Kumar Yadav) নেতৃত্বাধীন তরুণ ভারতীয় দল আজ মাঠে নেমেছে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যর মিশেলে তৈরি অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে (India vs Australia)। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ বিশাখাপত্তনাম মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। আর সেই ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে টসে হেরেও ইংলিশের (Jos Inglis) দাপটে ভারতীয় বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করলো অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া টি টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম শতরানটি আসে আজ তার ব্যাট থেকে। ২০০ রানের গণ্ডি টপকে ভারতের সামনে বড় টার্গেট রাখলো অজিরা।
টসে জিতেছিল ভারত:
ভারত সেদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সূর্যকুমার যাদব ২০২১ সালের পর থেকে ভারতীয় দলের নবম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। আপাতত ভারতীয় দলের কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকা ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যা ব্যাটিং করে তাতে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড খুব একটা অসন্তুষ্ট হবেন না টসে হারার জন্য।
ইংলিশের বিধ্বংসী ব্যাটিং:
এদিন ব্যাট হাতে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স করা জস ইংলিশ এদিন পঞ্চম ওভারে মাঠে এসে তারপর ১৭ তম ওভার অবধি মাঠে থেকে ধ্বংস করে দেন ভারতের বোলিংকে। ৫০ বলে ১১ টি চার এবং ৮ টি ছক্কা সহ ১১০ রানের একটি অভূতপূর্ব ইনিংস খেলেন তিনি। তিনি যখন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার হয়ে ফেরেন তখন অস্ট্রেলিয়া যে ২০০ রানের গণ্ডি পেরোবে সেটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
নজর কাড়লেন স্টিভ স্মিথও:
ইংলিশ এদিন আক্রমণের ভারটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটা একসঙ্গে বেঁধে রাখার কাজ করছিলেন অভিজ্ঞ স্টিভ স্মিথ। খুব দেখেশুনে ব্যাটিং করে তিনি ৪১ বলে ৮ টি চার সহ ৫২ রানের একটি ইনিংস খেলেন। এরপর অবশ্য হতাশা জনক ভাবে রান আউট হন তিনি একটি অদ্ভুত শট। খেলতে গিয়ে। শেষদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলে যাওয়া টিম ডেভিডের ক্যামিওতে ভর করে ২০৮-এর স্কোর অবধি পৌঁছয় অস্ট্রেলিয়া।
ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে হতাশার মধ্যেই ইয়র্কারে উজ্জ্বল মুকেশ:
এদিন বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে বেশ হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে। এই সিরিজে দলে ফেরত আসা অর্শদীপ সিং শুরুতে অসাধারন বোলিং করলেও ডেথ ওভারে দুই অফার হাত ঘুরিয়ে বিলিয়ে দিলেন ৩৪ রান। মূলত মাঝের ওভার গুলিতে হাত ঘুরিয়ে এই নিজের ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করেছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। রবি বিশ্নই (১/৫৪) একটি উইকেট পেলেও এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করেছেন। অক্ষর প্যাটেল নিজের ৪ ওভারে কৃপণ বোলিং করে ৩২ রান দিয়েছেন। কিন্তু এর মাঝেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা মুকেশ কুমার। ডেথ ওভারে বোলিং করেও নিজের ৪ ওভারে তিনি মাত্র ২৯ রান খরচ করেন। যেভাবে তিনি একের পর এক নিখুঁত ইয়র্কার করে গেছেন শেষদিকে, তা রীতিমত প্রশংসনীয়।