বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের ১০৪ টি পুরসভায় নির্বাচন আজ। এরই মধ্যে কলকাতায় সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রীতিমতো রাস্তায় ফেলে বুকে পেটে চলল বেপরোয়া কিল-লাথি-ঘুষি। ঘটনার জেরে কার্যতই তোলপাড় এলাকা।সাত সক্কালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দমদমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা যাচ্ছে, এদিন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ ছিল সকাল থেকেই বুথ দখল করছে তৃণমূল।
সিপিএম এর প্রার্থী কিংবা এজেন্ট কাউকেই ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না বুথের ধারেকাছে। এমনকি আলিপুর মোড়ের কাছে তৃণমূল কর্মীরা সিপিএম কর্মীদের তাড়া করেন বলেও অভিযোগ। এই সময় সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে বুথ অবধি পৌঁছাতে চেষ্টা করেন সিপিএম প্রার্থী শিবশঙ্কর ঘোষ। কিন্তু তাঁদের পথ আটকান মুখে মাস্ক পরিহিত তৃণমূলের একদল মহিলা এবং পুরুষ কর্মী। দুইপক্ষের বচসা বাঁধে সেখানে। আর এই ঘটনা লাইভ দেখাতে গেলে আক্রান্ত হন চিত্র সাংবাদিক দীপঙ্কর দাস।
দীপঙ্করকে মাটিতে ফেলে চলে বেধড়ক মারধর। চলে অমানুষিক লাথি, ঘুষির সঙ্গে অকথ্য গালাগালি। একই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর বহুমুল্য ক্যামেরাটিও। কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী ওড়না দিয়ে বাঁধেন তাঁর মুখও। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই সাংবাদিক। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
আহত সাংবাদিক জানিয়েছেন, ‘অনেক জন বুকে পেটে লাথি মেরেছে। রাস্তায় ফেলে ২০-২৫ জন ঘিরে ধরে মেরেছে আমাকে। মাথার পিছনে ভারী কোনও জিনিস দিয়েও মেরেছে। সবার মুখে মাস্ক ছিল। আমি একথাও বলেছিলাম আমাকে মারছ মারো কিন্তু ক্যামেরাটার কিছু কোরো না। অনেক দাম ওটার। কিন্তু আমাকে মারার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে দিয়েছে ক্যামেরাটাও। পেটে অসহ্য ব্যথা করছে। কথা অবধি বলতে পারছি না।’
আপাতত চিকিৎসা চলছে ওই সাংবাদিকের। কিন্তু যেখানে খোদ কলকাতার বুকে রাস্তায় ফেলে পেটানো।হয় সাংবাদিককে, সেখানে কোথায় দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা, কোথায়ই বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, উঠছে প্রশ্ন।