চিনার পার্কের হোটেলে অগ্নিকাণ্ড! খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিকরা, করা হল মারধর

Published on:

Published on:

Journalist harassed while gathering news in Kolkata.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হলেন দুই সাংবাদিক। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মঙ্গলবার দুপুরে চিনার পার্কে একটি বেসরকারি হোটেলের রুফটপে আচমকাই আগুন লেগে যায়। মূলত, সিটি সেন্টার ২-এর কাছে ন’পাড়ায় স্থিত পিপল ট্রি হোটেল থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেলে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল।

খাস কলকাতায় (Kolkata) খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হলেন সাংবাদিকরা:

এদিকে, ওই অগ্নিকাণ্ডের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হলেন প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। অভিযোগ উঠছে যে, ওই হোটেলের মহিলা কর্মী থেকে শুরু করে প্রায় ৫ জন কর্মী চড়াও হন সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক ফারুক আলম এবং টিভি নাইনের সাংবাদিক রঞ্জিত ধরে ওপর। মারধরের পাশাপাশি ফারুকের জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, সমগ্র বিষয়টি পরবর্তীতে পুলিশকে জানানো হলে সেখানে পৌঁছে যান বাগুইহাটি থানার (Kolkata) আইসি অমিত মিত্র। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও খবর মিলেছে।

Journalist harassed while gathering news in Kolkata.

ঠিক কী ঘটেছে: মূলত, মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে নাগাদ ওই হোটেলে আগুন লাগে। ঘটনাটির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সেখানে পৌঁছে যান ওই সাংবাদিকরা। তাঁরা ছবি তুলতে শুরু করলে হোটেলের (Kolkata) কর্মীরা তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন। সেই সময় তাঁরা তাঁদের নিজের পরিচয়পত্র দেখালেও হোটেলের এক মহিলা কর্মী আচমকাই ফারুকের জামার কলার ধরেন এবং তারপরেই অন্যান্য কর্মীরা এসে মারধর শুরু করেন।

আরও পড়ুন: “ওর বয়স আদৌ ১৪ বছর?” বৈভবের দিকে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন টিম ইন্ডিয়ার এই খেলোয়াড়

ইতিমধ্যেই ফারুক জানিয়েছেন, “আমি সমগ্র বিষয়টি পুলিশকে ফোন করে জানাই। ঘটনাস্থলে আসেন বাগুইআটি থানার (Kolkata) আইসি অমিত মিত্র। যাঁরা আমাকে হেনস্তা করেছেন তাঁদের মধ্যে তিনজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের আমার সহকর্মীরা যখন হোটেলের ওই মহিলা কর্মীকে প্রশ্ন করেন কেন মারধর করা হল? সেই সময়ও তিনি বলতে থাকেন চাপকে সোজা করে দেব। আমি ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

আরও পড়ুন: ভারতীয়রা তো ক্ষুব্ধই! অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের দেশেও কড়া সমালোচনার সম্মুখীন ট্রাম্প

এদিকে, ঘটনার বিষয় জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হন রাজারহাট নিউটাউনের (Kolkata) বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি প্রাক্তন কাউন্সিলর আজিজুল হোসেন মন্ডলও সেখানে পৌঁছে যান। কর্তব্যরত সাংবাদিকদের মারধরের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে একাধিকবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এমনকি, মহিলা সাংবাদিকরাও বাদ পড়েছেন না। কর্তব্যরত অবস্থায় বারংবার সাংবাদিকদের ওপর এহেন আক্রমণ কখনোই কাম্য নয়। বাংলা হান্টও এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়।