বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় ফের একবার উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বদের মুখোশ খুলতেই চারিদিকে ছিঃছিঃ রব উঠেছে। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মত একটার পর একটা বিষ্ফোরক অভিযোগ উঠে এসেছে শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। তবে এবার যা হল তাতে নিন্দার ঝড় গোটা রাজ্যে।
সূত্রের খবর, এইদিন সন্দেশখালি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের এক স্বনামধন্য সাংবাদিককে। সর্বভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার (Republic Bangla) সাংবাদিক শান্তু পানকে (Santu Pan) টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল বাংলার পুলিশ। নক্ক্যারজনক এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের লজ্জা’ বলে দাবি করছে রাজ্যের মানুষ।
সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই পাশাপাশি মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মানুষ তোপ দাগছেন শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যেখানে সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে সেখানে একজন সাংবাদিকের গ্রেফতারির ঘটনায় ছিঃছিঃ করছে সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন তুলছে পুলিশের ভূমিকার উপর।
আরও পড়ুন : পুর অধিবেশনে খ্রিস্ট ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য! বিস্ফোরক উক্তি তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যার
সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক শান্তু পানের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেই তার গ্রেফতারির খবর সামনে আনা হয়। এরপর রিপাবলিক বাংলার পর্দাতেও তার গ্রেফতারির লাইভ ফুটেজ টেলিকাস্ট করা হয়। তারপর থেকেই রাজ্য পুলিশের নিন্দায় সরব হয়েছে বাংলার আম জনতা।
আরও পড়ুন : বসতেন খোদ অনুব্রত, মমতা বীরভূম ছাড়তেই তৃণমূল অফিসে ED হানা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে সন্দেশখালির পরিস্থিতি। শেখ শাহজাহান ফেরার হতেই নাকাবন্দি জারি হয়েছে এলাকাজুড়ে। আর তাতেই বুকে বল পেয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয় মানুষজন। মহিলারা ন্যাশনাল টেলিভিশনের সামনে বলতে শুরু করেছেন তাদের উপর হওয়া ধর্ষণ, অত্যাচারের কথা। আর সেই সব সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে একাধিকবার বাধার সম্মুখীন হয়েছে এই রাজ্যের সাংবাদিকরা। আর এবার মিডিয়ার কণ্ঠ রোধ করার জন্য সোজাসুজি গ্রেফতার করা হল এক স্বনামধন্য সাংবাদিককে।