বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিন দিন হয়ে গেল, টলিপাড়া ঐন্দ্রিলা শর্মা-হীন (Aindrila Sharma)। গত রবিবার দুপুরে সমস্ত লড়াই শেষ করে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার দ্রুত সুস্থতার জন্য একজোট হয়ে প্রার্থনা করেছিলেন টলিপাড়ার তারকারা। কিন্তু সবার সব প্রার্থনা বিফলে যায়। পুরনো তিক্ততা ভুলে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়ও (Joy Mukherjee)।
‘জিয়নকাঠি’ সিরিয়ালে অভিনয়ের সময়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন জয় এবং ঐন্দ্রিলা। দুজনেই মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ওই সিরিয়ালে। সে সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নাকি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। গ্রেফতারও হতে হয়েছিল জয়কে। যদিও অভিনেতার দাবি, সবটাই ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছিল। ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছিলেন জয়।
রবিবার সমস্ত বাঁধন ছাড়িয়ে চিরতরে চোখ বুজেছেন ঐন্দ্রিলা। খবরটা শোনার পর থেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না জয়। এক সংবাদ মাধ্যমের হয়ে অভিনেতা বলেন, ঐন্দ্রিলা তাঁর থেকে অনেকটাই ছোট, বোনের মতো। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল যে ঘটনাটা নিয়ে সেটা আর মনে করতে চান না জয়। তবুও এখন নিজেকেই দোষী মনে হয় তাঁর।
জয় জানান, একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়ে তিনি চিত্রনাট্য পড়ছিলেন। অন্যদিকে বসে ঐন্দ্রিলা ফোনে কথা বলছিলেন। মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায় চিৎকার চেঁচামেচি করে ফেলেছিলেন জয়। বিষয়টা বাজে দিকে ঘুরে যায়। ১০০ টি পর্বে একসঙ্গে কাজ করার পর সিরিয়াল ছেড়ে দেন অভিনেতা।
জয় বলেন, একসঙ্গে অনেক ভাল মুহূর্ত কাটিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ওই একদিনের ঘটনাই সম্পর্কটা তিক্ত করে দেয়। ঐন্দ্রিলা সম্পর্কে তিনি বলেন, খুবই ইতিবাচক মনোভাব ছিল তাঁর। মজা করে শুটিং করতেন। এখন থাকলেও হয়তো ঝগড়া করে নিতেন জয়। যদি ঝগড়া করার জন্যই ফিরে আসতেন ঐন্দ্রিলা।
অনেক কষ্ট পেয়েছেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু সবার মতো জয়ও ভেবেছিলেন এবারেও ঠিক ফিরে আসবেন তিনি। কলকাতায় না থাকায় ঐন্দ্রিলাকে শেষ দেখা দেখতে যেতে পারেননি জয়। ক্ষমাও চাওয়া হয়ে ওঠেনি। এটাই তাঁর চিরদিনের আক্ষেপ থেকে যাবে, হতাশা ব্যক্ত করেন জয়।