আমরণ অনশন চলছে! জুনিয়র ডাক্তারদের বায়ো টয়লেটের অনুমতি দিল না পুলিশ! তুমুল শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আবহেই আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই চলছে প্রতিবাদ। এবার ১০ দফা দাবি আদায়ে অনশনে বসেছেন তাঁরা। ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে আজ জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) অনশনের দ্বিতীয় দিন। অভিযোগ উঠছে, তাঁদের বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।

  • বায়ো টয়লেটে ‘আপত্তি’ (Junior Doctors)!

জানা যাচ্ছে, ধর্মতলায় তাঁদের ধর্নামঞ্চের পাশে দু’টি বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) জয়েন্ট সিপিকে শনিবার মেল করেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। বলা হয়েছিল, কেবলমাত্র অনশনকারীরাই সেই টয়লেট ব্যবহার করবেন। তবে সেই অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।

এখানেই শেষ নয়! ধর্মতলায় পুলিশের দু’টি মোবাইল টয়লেটও তাঁদের ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ধর্নামঞ্চ থেকে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। তাঁরা জানায়, পুলিশ তাঁদের সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে বলেছে। এই অবস্থায় যদি কারোর শরীর খারাপ হয়ে যায় তাহলে তার দায় কে নেবে? প্রশ্ন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুনঃ সদ্য মিলেছে জামিন, ফের খুশির খবর অনুব্রতর জন্যে! গরুপাচার মামলায় বিরাট আপডেট

শনিবার রাত থেকেই অনশনে (Hunger Strike) বসেছেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএম হাসপাতালের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, যাদবপুর কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। গতকাল রাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চেই ঘুমিয়েছেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন অন্যান্য জুনিয়র চিকিৎসকরা।

Junior Doctors

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দীর্ঘ ৪২ দিনের টানাপোড়েন শেষে কয়েকদিন আগে কাজে যোগ দেন। কিন্তু তার মধ্যেই ফের বিপত্তি! সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের হামলার ঘটনার পর ফের সরব হন তাঁরা। শুরু হয় কর্মবিরতি।

শুক্রবার কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেও ২৪ ঘণ্টার ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। গতকাল সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হতেই আমরণ অনশনে বসেন ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক। পুজোর আবহে ডাক্তারদের ধর্না-অবস্থানের কারণে ধর্মতলার রাস্তার একটি বড় অংশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা রয়েছে। একদিকে যানজট, অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান- পুজোর আবহে এই দুই চ্যালেঞ্জ পুলিশ কীভাবে সামাল দেয় সেটাই দেখার।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর