বাংলাহান্ট ডেস্ক: গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে করা হয় অভিযোগ। বিচারপতি গঙ্গপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) রুল জারির দাবি তোলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি (Mukul Rohtagi)। বিচারাধীন মামলায় বিচারপতির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সর্বোচ্চ আদালতে।
এবার সেই রোহাতগির মন্তব্যেই বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এজলাসে বসেই আইনজীবীর উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি। মুকুল রোহাতগি কতবড় আইনজীবী, তা তিনি দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি মামলার সূত্রে সওয়াল করতে গিয়ে এই দাবি তোলেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল তথা আইনজীবী মুকুল রোহতগি।
প্রসঙ্গত, বুধবার আইনজীবী রোহতগি বলেন, “বিচারপ্রতি প্রত্যেকদিন টিভিতে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। তিনি আর কখনও এ কেস শুনতে পারেন না। এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি শুনানি করছেন আর হাজার হাজার মানুষের চাকরি যাচ্ছে প্রত্যেকদিন। এটা কি চলছে? এটা কখনও চলতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুল জারি করা উচিত সুপ্রিম কোর্টের । তিনি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি সহ কর্মরত ৫ হাজার জনের চাকরি কেড়েছেন । কারও বক্তব্য না শুনেই তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন।” এখানেই শেষ নয়, একজন বিচারপতি তার অধীনে থাকা একটি মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে কিভাবে প্রেস কনফারেন্স করে নিজের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন, সেই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়।
বুধবার আইনজীবী রোহতগি বলেন, “বিচারপ্রতি প্রত্যেকদিন টিভিতে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। তিনি আর কখনও এ কেস শুনতে পারেন না। এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি শুনানি করছেন আর হাজার হাজার মানুষের চাকরি যাচ্ছে প্রত্যেকদিন। এটা কি চলছে? এটা কখনও চলতে পারে না।”
আইনজীবীর কথা শুনে বিচারপতি বলেন, অনিরুদ্ধ বসু বলেন, “কাদের চাকরি গিয়েছে? কীভাবে চাকরি গিয়েছে? সেসব খতিয়ে দেখতে হবে।” এরপর বৃহস্পতিবার রোহতগির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সকালে আদালতে এসেই বিচারপতি আইনজীবীদের কাছে গতকালের শুনানির কোনও ক্লিপিং দিতে পারবেন কি না সেকথা জানতে চান। পাশাপাশি তিনি সংবাদমাধ্যমের থেকে খবরটি জানতে পেরেছেন বলেও জানান।
এরপরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, “আমি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠিয়ে এই বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাইব। দুর্নীতি আটকাতে না পেরে দুর্নীতির সমর্থনে কথা বলা হচ্ছে। কঠোর পদক্ষেপ নেব আমি সবার বিরুদ্ধে।” প্রসঙ্গত, এর আগেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দানের বিরোধিতা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। সেই নিয়েও অনেকদূর গড়িয়েছিল বিতর্কের জল।