বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি থাকাকালীন এই ধরনের সাক্ষাৎকার দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সে বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে এখন বহু সাধারণ মানুষের প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই সাক্ষাৎকার। হবে নাই বা কেন!
রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে যতবার প্রভাবশালীদের নাম জড়িয়েছে ততবারই তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন আইনের কলমের মাধ্যমে। একের পর এক মোর ঘোরানো বিচারে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন “ভগবান।” স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলা থেকে টেট দুর্নীতি। অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করা থেকে যোগ্যদের চাকরিতে নিয়োগ করা, সব ক্ষেত্রেই তিনি দাপটের সাথে বিচার করেছেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মুখ খুললেন ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি পাওয়া নিয়ে।
উল্লেখ্য সোমা দাস একজন ক্যান্সার আক্রান্ত। তিনি একজন যোগ্য এসএসসি পরীক্ষার্থী। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতির জন্য গত চার বছর ধরে তিনি তার চাকরি থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিককে বলেন, “এক ক্যান্সার আক্রান্ত রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে, আর আমি বসে আছি চেয়ারে।”
সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে গিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান যে সোমা দাসের ব্যাপারটি নিয়ে তিনি খুবই স্পর্শকাতর ছিলেন। তিনি যখন সোমা দাসকে ডেকে অন্য কোথাও চাকরির ব্যবস্থার কথা বলেন তখন সোমা জানিয়ে দেন যে তিনি শিক্ষকতাই করবেন। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসনের উচ্চ স্তরেকে ব্যাপারটি নিয়ে ভেবেচিন্তে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। অবশেষে স্কুল শিক্ষা দপ্তর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় চাকরি পান সোমা দাস। ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা স্কুল শিক্ষকতা চাকরি পাওয়ার পর অবশ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেককে।