বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক মাস নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে (Recruitment Scam) রীতিমতো ধুন্ধুমার বঙ্গ। আদালতে চলছে একের পর মামলা। সেই মতো পাহাড় প্রমাণ জমে থাকা মামলার রায় দিচ্ছেন হাইকোর্টের বিচারপতিগণ।
গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নির্দেশ দিয়েছিলেন, ফলাফল ঘোষণা করতে হবে পর্ষদকে। আদালতের নির্দেশ মেনে তা ঘোষণাও করে পর্ষদ। কিন্তু তাতেও নাকি বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে! এরপর ২০১৬ সালের প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ করে ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী আবেদনে জানান, তাদের থেকে কম নম্বর পেয়েও নিয়োগপত্র পেলেও প্যানেলে তাদের ঠাঁই হয়নি।
এরপরেই সূত্রপাত হয় ঘটনার। ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বলেন, “আমি যত দুর্নীতি সরানোর চেষ্টা করছি তত নতুন নতুন অভিযোগ আসছে। এভাবে চলতে থাকতে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেব। ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।”
বিচারপতি এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধে জোর বিতর্ক। সামাজিক মহলে শুরু হয় সমালোচনা। অনেক নেটিজেন বিচারপতির এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। বিতর্কের পারদ এতটাই চড়তে শুরু করে যে শেষমেশ নিজের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে আদালতে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন এজলাসে ঠিক কি বললেন বিচারপতি? বৃহস্পতিবার এজলাসে বসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কাউকে উদ্দেশ করে বা কাউকে আঘাত করার জন্য আমি ওই কথা বলিনি।’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেন, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে যা প্রচারিত হচ্ছে তা সবটা ঠিক নয়। তার পর্যবেক্ষণ মানেই কড়া কড়া বাক্য। তীক্ষ্ণ সমালোচনা। দু’দিন আগে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বলেছিলেন, ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।’ তা নিয়ে সামাজিক মহলে সমালোচনা হয়েছিল। কেউকেউ বলেছিলেন, ঢাক বাজানো মানুষের পেশা। বিচারপতি তাদের অপমান করতে পারেন না।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি বা পেশাকে ছোট করার জন্য তিনি একথা বলেননি।’ বিচারপতি জানান, তার মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রচারিত হয়নি। যার ফলে সামাজিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।