শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় বিচারপতি গাঙ্গুলির, বরখাস্ত প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও গুরুত্বপূর্ণ রায় দিলো কলকাতা উচ্চআদালত। প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি আগামীকাল তাঁকে আদালাতে হাজির থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমানে সচিব পদে আছেন রত্না বাগচি। মানিক ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করার পর যতদিন পর্যন্ত নতুন সভাপতি নিয়োগ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ সূত্রের খবর, শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টোর সময় মানিকবাবুকে কলকাতা উচ্চআদালতে ১৭ নম্বর এজলাসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুধুমাত্র প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন বেনিয়ম হয়েছে বলেই মনে করছে বিচার বিভাগ। রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর না করে প্রায় সবকটি মামলাই সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে আদালতের বিশেষ নজরদারিতে চলবে এই তদন্ত। সিবিআইয়ের তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে সিটও। আজ প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলায় সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের রায় দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ সংক্রান্ত এই দুর্নীতির জট ধীরে ধীরে খুলছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

কিছুদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন প্রায় ১৫০০ জনের চাকরি যাবে বাংলায়। সেই কথাকে একেবারে অযৌক্তিক বলার জায়গা নেই। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে মোট ২৬৯ জন চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। শুধু হুগলি জেলাতেই এই সংখ্যাটা ৬৮। চাকরি থেকে বরখাস্ত হচ্ছেন একের পর এক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়রা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে সমস্ত গরীব মানুষ নিজের সর্বস্ব উজাড় করে চাকরি পেয়েছে তাঁদের কী হবে? যারা এই ঘৃণ্য দুর্নীতির মাথা তারা শাস্তি পাবে কবে? কোথায়ই বা শেষ এই দুর্নীতির জাল? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর