‘কোর্ট আপনাদের বিশ্বাস করেছিল, আপনারাই..’, অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে ED-কে ভর্ৎসনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিষেক মামলায় তোলপাড় আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) নির্দেশ দিয়েছিলেন ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও সংস্থার সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির হিসেব (Property Details) আদালতে জমা দিতে হবে। সেই মতো জমাও পড়ে নথি। সোমবার সেই রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে ইডিকে কে তুলোধোনা বিচারপতির।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সংস্থার সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির বিবরণ নিয়ে আদালতে জমা দেওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি সিনহা। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির বিবরণ নিয়ে জমা দেওয়া রিপোর্টে বেশ কিছু সন্দেহ থাকায় আজই সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের এজলাসে তলব করেছিলেন বিচারপতি। আর সেখানেই বিচারপতির প্রশ্নে মুখে কুলুপ ইডির।

এদিন ইডিকে প্রশ্ন করে বিচারপতি বলেন, ‘রিপোর্টে বলছেন অভিষেকের মাত্র ৩টি বিমা, আর কোনও সম্পত্তি বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? সাংসদ হিসেবে অভিষেকের বেতন জমা পড়ে কোন অ্যাকাউন্টে?’ জবাবে ইডি জানায় অভিষেকের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট আছে।

আরও পড়ুন: বিদায় বেলায় জোরসে কামড়! আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া? এল লেটেস্ট আপডেট

এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বলেন, ‘এখানে অ্যাকাউন্টের উল্লেখ নেই কেন? আপনারা কি পোস্ট অফিস?’ এরপরই বিচারপতির মন্তব্য, ‘সন্দেহ হচ্ছে আপনারাই তথ্যগোপন করছেন’। এখানেই শেষ নয়, বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘১৮৮এ, হরিশ মুখার্জি রোড কার নামে, জানেন? এটা সম্পত্তির খতিয়ানে নেই কেন? মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩০বি, হরিশ চ্য়াটার্জি স্ট্রিটের উল্লেখ। কেন সেসব তথ্যের উল্লেখ নেই এখানে?’

এদিন বিচারপতির কড়া প্রশ্নের মুখে কুলুপ আঁটে গোয়েন্দারা। শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কোম্পানির সদস্য এবং ডিরেক্টরদের খতিয়ান অসম্পূর্ণ। তদন্ত চলছে দীর্ঘ ১৮ মাস হয়ে গেছে, কোনও ফলাফল নেই। সম্পত্তির সংখ্যা বলছেন, কিন্তু শনাক্ত করছেন না কেন? ” এদিন অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করেছে আদালত।

justice sinha abhishek

বিচারপতির প্রশ্ন, ” আগে তো বলেছিলেন সিনেমা জগতের অনেকে আছেন, এখন মাত্র একজন অভিনেতা। বাকিরা কোথায় গেল? যা দেখছি মনে হচ্ছে অনেক বেআইনি কাজ হয়েছে। কোর্ট আপনাদের বিশ্বাসও করেছিল, কিন্তু আপনারা তো কিছুই করছেন না। না, এখন কিছু করা দরকার। যারা শুনানি শুনছেন, তারা ঠিকই বুঝতে পারছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে না।”

অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘এটা কিসের সংস্থা? আয়ের উৎস কী? এর লাইসেন্স ছিল? কারখানা, যন্ত্রাংশের বিবরণ কোথায়?’ কোম্পানির শেয়ারের তথ্য কোথায়?সম্পত্তির খতিয়ান অসম্পূর্ণ। ইচ্ছে করে তথ্য জমা দেওয়া হচ্ছে না’।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর