সায় দিয়েও কেন শুভেন্দুর সভা বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? সামনে এল ‘আসল’ কারণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রস্তুতির পরও সব পণ্ড! গতকাল শেষ মুহূর্তে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি দেয় নি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই সভা করতে চেয়ে আগেই রাজ্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায় বিজেপি (BJP)। তবে পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। এরপরই ঘুরে যায় মোড়।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Avijit Ganguly) এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি প্রথমে নির্দেশ দেন, ‘আধ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে বিজেপির সভার অনুমতি দিতে হবে।’ নতুবা বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির হতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

আদালতের নির্দেশ মত শুনানিতে হাজির হন পুলিশ সুপার। আর তার যুক্তি শোনার পরই মত বদলে ফেলেন বিচারপতি। আগে বিচারপতি বলেছিলেন সুপারের জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। তবে সুপারের কথা শোনার পরই বিচারপতি জানিয়ে দিলেন কোতুলপুরে আগামী ৪ নভেম্বরের আগে সভা করতে পারবে না বিজেপি।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসা? খেপে লাল দিলীপ! এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেই শো কজ করার দাবি সাংসদের

পুলিশ সুপারের যুক্তি শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ সুপার বলছেন, এমনিতেই ওই সভা ময়দানটি অনেকটা বড়। তবে সেখানে একটি মাত্র প্রবেশ এবং বাহিরের পথ রয়েছে। যদি পদপিষ্টের ঘটনা হলে তাহলে আদালতের তো কিছু করার থাকবে না। জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো ঘটনা হলে তার দায় কে নেবে?’’

high court

তিনি আরও বলেন ২৮ অক্টোবর ই-মেল মারফৎ সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের কাছে ওই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারপতি বলেন, গত ৩০ অক্টোবর লিখিত ভাবে অনুমতি চাওয়া হয়। এত কম সময়ের মধ্যে তা গ্রহণ করা হয়নি। শেষ মুহূর্তে
আদালতের হাতে কিছু নেই।

পাশাপাশি বিজেপিকে চারদিন পর সভা করার কথা বলেন বিচারপতি। পাল্টা বিজেপির আইনজীবী বলেন, রাজভবনের সামনে তৃণমূলের কর্মসূচিতে এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা করে দিল। তবে কেন চার দিন লাগবে?’এরপরই আসানসোলে কম্বল বিতরণের বিষয়টি তুলে ধরে বিচারপতি বলেন, ‘শিশুসুলভ আচরণ করবেন না। পুলিশের অনুমতি ছাড়া সভা করতে দেওয়া যাবে না।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর