‘কয়েকজনকে গ্রেফতার, বাকিদের ছাড় কেন?” SSC মামলায় CBI-কে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন থেকেই হাইকোর্টের (High Court) প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI) এর ভূমিকা। গত সপ্তাহেই তদন্তের ধীর গতি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এবার ফের সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের আরেক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu)।

আবার সেই একই অভিযোগ, তদন্তের মন্থর গতি। এদিন নিয়োগ দুর্নীতির এক মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। ভরা এজলাসে সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে ভাবে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, তা চলতে পারে না। … যা করার তাড়াতাড়ি করুন।’’

এদিন আদালতে তদন্তকারী সংস্থাকে একের পর এক প্রশ্নবাণ ছোড়েন বিচারপতি বসু। বলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত বাকিরা কেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন? তাঁদের কেন ছেড়ে রাখা হয়েছে?’’ পাশাপাশি দুর্নীতিতে টাকা-পয়সা লেনদেনের সাথে যুক্ত মানুষদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। প্রশ্ন করেন, ‘‘যাঁরা টাকা দিয়েছেন এবং যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তাঁদের হেফাজতে নিয়ে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? এখনও সিবিআই উদাসীন কেন? এত দিনে তো অনেক টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে!’’

high court

এরপর কোর্টে হাজির সিবিআইয়ের আইনজীবী এবং কর্তাদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি ফের বলেন, ‘‘আপনারা কী করবেন আদালত তা বার বার বলে দেবে এটা ভাল দেখায় না। নিজেদের কাজ নিজেরা করুন। কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সেটাও বলে দিতে হচ্ছে। প্রতি দিন আসছেন আর কী করবেন সেটার উপদেশ শুনে চলে যাচ্ছে। এটা চলতে পারে না। যা করার তাড়াতাড়ি করুন।’’

পাশাপাশি বিচারপতির মন্তব্য, “কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করেছেন। চার্জশিট তৈরি করছেন। কিন্তু বাকি সুবিধাভোগীদের ছেড়ে রেখেছেন। এরকম কেন করছেন?’’ তার সংযোজন, ‘‘দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। মামলা ঝুলে থাকার কারণে নিয়োগ শুরু করতে অসুবিধা হচ্ছে। এমন চললে শূন্যপদ বেড়েই চলবে।’’


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর