বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় আদালতের নির্দেশ না মানায় সোমবার আদালতে হাজির হতে বলা হয় গৌতম পালকে। আদালতে হাজির হতেই তাকে দেখে রাগান্বিত হয়ে ওঠেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
নজিরবিহীনভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আদালতের নির্দেশ না মানলে গৌতম পালের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এক টেট প্রার্থী ২০১৬ সালে পরীক্ষায় বসেছিলেন। মামলাকারী ওই প্রার্থী প্রাথমিকভাবে জানতে পারেন ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ওই পরীক্ষার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০২০ সালে। ওই চাকরিপ্রার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার খবর জানার পর দ্বারস্থ হন আদালতের। তখন বিচারপতি প্রাথমিক শিক্ষা সভাপতিকে নির্দেশ দেন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ওই প্রার্থীকে দ্রুত ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালত এই নির্দেশ দেয় ৭ই জুন।
তবে চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ এতদিন হয়ে গেলেও তিনি ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আজ দুপুর তিনটের সময় গৌতম পালকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। আদালত কক্ষে প্রবেশ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গৌতম পালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
একই সাথে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে পর্ষদকে। এরপরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন গৌতম পাল। বেতন বন্ধের নির্দেশ শুনে জোড়হাত করে কান্না ধরা গলায় গৌতম পাল আদালতে বলেন, “সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করি আমি। পরিবারে আমি একমাত্র রোজগেরে। বাড়িতে বৃদ্ধা মা আছেন। তিনি অসুস্থ। চিকিৎসা চলছে ওনার।”
এরপর গৌতম পালকে শান্ত হতে বলে আইনজীবীদের সাথে ৫ মিনিট আলোচনা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপর গৌতম বাবু বলেন, “আগের অনেক নির্দেশ মেনেছি। ওই প্রার্থীকে আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেব।” সূত্রের খবর, সব শুনে বিচারপতি গৌতম পালকে দুই সপ্তাহ সময় দেন।