বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক ওরফে বালু। আর এই বালু গ্রেফতারির পর থেকেই সামনে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারী সংস্থার নজরে জ্যোতিপ্ৰিয় ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি।
বালুর পরিবারের লোকজন, আপ্তসহায়কের পর এবার সিজিওতে ডাক পড়ল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মার (Ramswaroop Sharma)। এবার ইডির স্ক্যানারে রামস্বরূপ। ED সূত্রে খবর রেশন দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাকে আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে মন্ত্রীর সূত্র ধরে বারংবার সামনে এসেছে তার প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের নাম। একাধিকবার তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে তিনি জানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই তার মা এবং স্ত্রীকে মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল।
অভিজিৎ দাস একদম খোলাখুলি বলেছিলেন মন্ত্রীর নির্দেশ তিনি ফেলতে পারেন নি। তবে ওই সংস্থা গুলির মাধ্যমে কী লেনদেন হত, ঠিক কী চলত সেসব তার অজানা ছিল। খোদ মন্ত্রীর বিষয়ে প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আর এরই মধ্যে এবার ইডির নজরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা।
আরও পড়ুন: ‘রাঘব বোয়াল’দের ছোঁয়া হল না কেন? নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI-কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের, কার দিকে ইঙ্গিত?
সূত্রের খবর বিহারের বাসিন্দা রামস্বরূপ ১৯৯৩ সালে কাজ খুঁজতে কলকাতায় আসেন। প্রথম দিকে তিনি কলেজ স্ট্রিটের কাছে একটি সেলুন চালাতেন। আশেপাশেই ছিল মন্ত্রীর বাড়ি। ধীরে ধীরে পরিচয় হয়। এরপর সেলুনের পাশাপাশি রামস্বরূপ জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারক হিসেবে যোগ দেন।
এই পরিচারক রামস্বরূপ পরবর্তীকালে আবার সরকারি চাকরিও পান। যদিও সূত্রের খবর এই সবের পেছনেই ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত। জ্যোতিপ্রিয়র আশীর্বাদে ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন তার বাড়ির পরিচারকও। জানা যাচ্ছে কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে রামস্বরূপ।
যদিও এই বিষয়ে আগেই রামস্বরূপ জানিয়েছেন, এই ফ্ল্যাট কেনার জন্য জ্যোতিপ্ৰিয়ই তাকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা তিনি শোধ করেছেন। যদিও ইডির দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের পরিচারকের নামে ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দানপত্র করিয়েছিলেন। কমিশনের নামে টাকার বদলে এই সম্পত্তি নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ওই পরিচারকের নামে আরও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার এই রামস্বরূপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন কোন নতুন তথ্য উঠে আসে সেটাই দেখার।