আর্টিকেল-30 কে মুছে ফেলার দাবি তীব্র, সংখ্যালঘুদের বেশি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গি ভারতীয় সংবিধানের ৩০ এর অনুচ্ছেদের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের আরও একবার বিতর্কে জড়ান। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা বৃহস্পতিবার টুইট করেছেন যে “সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদে সাম্যের অধিকারের সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। ” তিনি তার টুইটে লিখেছেন যে “৩০ অনুচ্ছেদে দেশে সাংবিধানিক সাম্য অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। এটি সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রচার এবং ধর্মীয় শিক্ষা দেয় যা অন্য ধর্মগুলি পায় না। আমাদের দেশ যখন ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে হয় তখন নিবন্ধ ৩০- এর দরকার কী! ”

কংগ্রেস এই আর্টিকেল নিয়েও বিরোধিতা করছে

সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩৭০ অনুচ্ছেদের মতো বিষয় নিয়ে কংগ্রেসও বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, ভারতীয় জনতা পার্টি ৩৭০ অনুচ্ছেদের মতন আর্টিকেল ৩০ অপসারণের পরিবেশ তৈরি করছে। তবে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই অনেক মত দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এটি ভালো চোখে নেয়নি।

IMG 20200530 WA0036

এই টুইটের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কৈলাস বিজয়বর্গিয়ার এই টুইটকে কংগ্রেস নেতা কে কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ” মানুষ, দেশে এবং বিদেশে করোনার কারণে বিপদে পড়েছে। তারমধ্যে আবার আর্টিকেল ৩০ নিয়ে যা চলছে তা হলো সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস! মোদী সরকার ৩০ অনুচ্ছেদ অপসারণের জন্য এই পরিবেশ তৈরি করছে। “এমনকি ৩০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বৈষম্য কেন?

সম্পর্কিত খবর