বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে। বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক তথা বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের ধানের উৎপাদনমূল্য দেওয়া হয়নি। গরিবদের চালও দেওয়া হয়নি। এই ব্যাপক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী।”
রবিবার সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে বাইপাসের ধারে একটি বেসরিকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মুল্যে ধান কেনে বিভিন্ন সোসাইটি এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো। কিন্তু কজন কৃষকদের থেকে ধান কেনা হয়েছে তাঁর সঠিক তথ্য রাজ্যের কাছে নেই।” তিনি জানান, ‘আমরা জানতে চাই যে কৃষকদের কত টাকা দেওয়া হয়েছে চেকের মাধ্যমে? কত টাকা নগদে দেওয়া হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনার তালিকাও দিতে পারেনি রাজ্য।”
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘গরিবদের জন্য ত্রিপলের টাকা এসেছে, কিন্তু তা গরিবদের হাতে পৌঁছায়নি। মোদীজি গরিবদের জন্য চাল পাঠান, তা গরিবরা পাননা। প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার মতো করে দুর্নীতি করা হয়েছে। আর এই কাণ্ডে স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী জড়িত।”
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘২০০৬ সালে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সম্পত্তি ছিল ৫ লক্ষ টাকা। ২০১১ সালে সেই সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ লক্ষ টাকা। ২০১৬ সালে ১ কোটি ৫২ লক্ষ আর ২০২১ সালে ৬ কোটি ২৯ লক্ষ। এটা তিনি নিজেই নিজের হলফনামায় জানিয়েছেন। বাংলাদেশেও ওনার সম্পত্তি আছে বলে জানতে পেরেছি আমরা। এই দুর্নীতিতে মতিবুর রহমান, মহেন্দ্র আগরওয়াল ও কালীদাস সাহার ও নাম আছে। এঁরা গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত।”