বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার বীরভূম সহ রাজ্যের মোট ৮টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। রেজাল্ট আউট হওয়ার কথা আগামী ৪ জুন। কিন্তু তার আগেই কেষ্ট-গড়ে বেরোল তৃণমূলের (Trinamool Congress) ‘বিজয় মিছিল’। ঢাক বাজিয়ে, সবুজ আবীর উড়িয়ে হল মিষ্টিমুখ। ভোট মিটতেই এই চিত্র দেখা গেল বীরভূমে (Birbhum)। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
ভোটের রাত পোহাতেই সকাল থেকে একেবারে উৎসবের মেজাজ কেষ্ট-গড়ে! বীরভূমের কাজল শেখের (Kajal Sheikh) নেতৃত্বে বেরোল ‘বিজয় মিছিল’। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) একাধিক স্থানীয় নেতৃত্ব এবং কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। নানুর বিধানসভার অধীন পাপুরি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ঘোরে এই মিছিল। সবুজ আবীর উড়িয়ে যেন শতাব্দী রায় এবং অসিত মালের ‘জয়ে’র অগ্রিম উদযাপন করেন কাজল শেখের অনুগামীরা।
এই প্রসঙ্গে জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে কাজল বলেন, ‘সারা বছর আমরা পড়াশোনা কর। ফলাফল কী হতে চলেছে, সেটা আমরা আগে থেকেই বুঝে যাই’। কাজলের বিশ্বাস, বীরভূম এবং বোলপুর, দুই কেন্দ্রেই ঘাসফুল ফুটতে চলেছে। বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী ১ থেকে ১.৫ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে এবং বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসিত ২.৫ থেকে ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে অনুমান করছেন কাজল। সেই খুশিতেই এদিন হইহই করে মিছিল বের করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ ‘কথা দিচ্ছি নিজে করব’! ‘খেয়ে দেখুন না স্বাদ কেমন’, ‘মোদীবাবু’কে কী খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন মমতা?
এদিকে উনিশের লোকসভা ভোটে বীরভূমের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকিগুলিতে দাপট দেখা গিয়েছিল বিজেপির। অন্যদিকে বোলপুর কড়া টক্কর হয়েছিল দুই দলের। মাত্র ৬% ভোট এদিকওদিক হলেই ফলাফলটা অন্যরকম হতে পারতো।
গতবার শহর বীরভূমে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। এবার তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলও নেই। কেষ্ট-হীন বীরভূমে তৃণমূলকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে দলের দুই প্রার্থীই অবশ্য নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
উল্লেখ্য, গতকাল ভোট চলাকালীন বীরভূমের নানান এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি খবর উঠে এসেছে। ছাপ্পা ভোট, ভোট লুটের অভিযোগও উঠেছে। তবে সত্বর তা নিয়ন্ত্রণে আনে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে কেষ্টহীন বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরেও বেশ রদবদল চোখে পড়েছে।
নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই কাজলকে বীরভূম জেলার কোর কমিটি এবং নির্বাচন কমিটি থেকে দল বাদ দেয়। বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দীও প্রচারে বেরিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন। সব মিলিয়ে কেষ্ট-গড়ে এবার কেমন ফলাফল করে তৃণমূল সেদিকেই নজর সকলের।